কয়েক সপ্তাহ আগে সরকারের প্রশাসনিক পর্যায়ে থেকে ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছে সরকার। ফের আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম উৎপল দত্ত যিনি ৩০ তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের মাধ্যমে চাকরিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। গতকাল রবিবার অর্থাৎ ৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। উৎপল দত্ত বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লিয়েনে কর্মরত রয়েছেন।
গত ৩১ অক্টোবর তার চাকরিচ্যুতির প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরিত হলেও পাঁচ দিন পর গতকাল রবিবার তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল দত্ত (বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লিয়েনে কর্মরত আছেন) ২৬ মার্চ থেকে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া হলো। এতে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজাম মুনিরা। তবে কেন তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যাইহোক, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি/পরিপত্রে এই প্রজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল- ‘জনাব উৎপল দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঢাকাকে চাকরি হতে বরখাস্ত প্রদান।’
সিনিয়র সহকারী সচিব সিরাজাম মুনিরাকে পাওয়া না গেলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখার যুগ্ম সচিব (অতিরিক্ত) আবুল ফজল গণমাধ্যমকে জানান, উৎপল দত্তের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে পদত্যাগের কথা জানানো হয়েছে।
উৎপল বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। ২৮তম বিসিএস পাস করার পর তিনি প্রকৌশলী হিসেবে পিডব্লিউডিতে যোগ দেন। তিনি ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওই সরকারি চাকরিতে কর্মরত ছিলেন।
পরে তিনি ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ২০১২ সালে পুলিশে যোগদান করেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে ছিলেন, এরপর তিনি পুলিশ সদর দফতরে যোগদান করেন।
কিছুদিন আগে বাধ্যতামূলক ৫ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । যার কারণ হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছিলেন তাদের কর্ম দক্ষতা এবং দেশপ্রেমের অভাব বা ঘাটতির কারণে তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে সেটা সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী করা হয়েছে।