গতকাল রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর ঘোষপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে নিপা তালুকদার নামে এক নারীর মৃ’ত’দে’হ উ’দ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, তিনি পেশায় এখন নার্স হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
এদিকে জানা গেছে, মৃ’ত’দে’হের পাশ থেকে একটি ‘চিরকুট’ উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা রয়েছে- ‘আমার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু আমি পারিনি, তাই নিজে নিজে এই পথ বেঁচে নিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিও এবং তোমরা আমার জন্য দোয়া করো’।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিপা সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার খাগাওড়া গ্রামের শ্যামল তালুকদারের মেয়ে। তিনি নগরীর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফয়েজ জেনারেল হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, নগরীর মোহনপুর ঘোষপাড়া এলাকার নিম্বার আলীর বাড়ির নিচতলায় কয়েকজন নারীর সঙ্গে থাকতেন নিপা। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
নিপা আসলেই আ”ত্ম’হ”’ত্যা’ করেছে কি না তা এখনও ‘স্পষ্ট’ নয়। ‘ঝুল’ন্ত অ’বস্থা’য় তার পা বিছা’নার সাথে লেগে ‘থাকা’য় তার মৃত্যু’ রহ’স্যে ঘেরা। কেউ কেউ বলছেন ‘তা’কে ”হ”ত্যা’ করে’ ‘লা”শ” ঝু”লি’য়ে’ রাখা হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, তিনি ‘আ’ত্ম”’হ”ত্যা” করেছেন।
আর এ বিষয়ে রীতিমত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। চিরকুটের ওই লেখাটা আসলেই তার হাতের লেখা কিনা, তাও খুতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।