বাংলাদেশের রাজনীতির সব থেকে বড় দুইটি দলের নাম হলো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আর এই কারণেই রাজনীতির মাঠে তাদের দাপট থাকে সব সময়। এ দিকে পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার দেশে ফেরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, জিয়াউর রহমানই তাকে (শেখ হাসিনাকে) দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। এটা প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেদিন তাকে ফিরিয়ে না আনলে আজকের আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হতো না, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হতেন না।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জেআইএসপি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার দেশ নয়, উন্নয়নের জোয়ারে এদেশ থেকে গণতন্ত্র ভেসে যাচ্ছে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের দাবি, তারা দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছে। কোন উন্নয়ন? যে উন্নয়নে গণতন্ত্র ভাসছে। এটাই বাস্তব এবং সত্য ঘটনা।
মঈন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেভাবে সাধারণ মানুষ, সিপাহী জনতার আহ্বানে এদেশের দায়িত্ব নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন, ঠিক সেভাবে জাতীয় নেত্রী খালেদা জিয়াও দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ভবিষ্যতে মানুষের হাতে।
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আছি এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিকভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ চালাচ্ছে দাবি করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভুয়া সংসদের মাধ্যমে অগণতান্ত্রিকভাবে দেশ চালাচ্ছে। এই সরকারকে সরিয়ে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকারই হবে বৈধ সরকার।
বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি ক্ষমতা পাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না, এদেশের মানুষের জন্য জনগণের জন্য রাজনীতি করে। যা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন। তাই বিএনপির মূলমন্ত্র হলো ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।
এই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিনপির আরো বেসি কয়েক জন হেভিওয়েট নেতারা। তারাও এ দিন বক্তব্য রাখেন সকলের উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জিসপ সভাপতি এম হিরান উদ্দিন খোকনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখা। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।