বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ঢাকাই সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেতা কমল পাটেকর। তবে তিনি এখন ভালোনেই। তার র্হাটে সমস্য রয়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্ত রয়েছে। সেখান থেকে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ওই সময় নায়িকা নিপুণ ছাড়া তার সহকর্মীরা কেউ তাকে খুঁজছিলেন না।
এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হলে বিষয়টি শোবিজের অনেক মানুষের নজরে আসে। এরপর কামালের আক্ষেপ নিয়ে সুর মিলিয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন। এছাড়া ‘কাঁধে লাশ বহন’ নিয়ে মিশা সওদাগর ( Misha Saudagar ) ও জায়েদ খানকে ( Zayed Khan ) ছুরিকাঘাত করেছেন তিনি।
গত বুধবার (১ জুন ( June )) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নূতন কামালকে ( Kamal ) উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘সিনেমা দেখার জায়গা নেই। এখানে যতদিন দিতে পারবেন, সবার খোঁজে থাকবেন। সবাই তোমার জন্য কাঁদবে। শিডিউল থাকলে গৃহকর্তার খবরও পাবেন। আর না পারলে খবর নিতে হবে। তোমার চেয়ে বড় কোনো তারকা নেই। তোমার সম্পর্কে খবর কাগজে ছাপা হয়, এটুকুই। যদিও আপনি খুব ভালো অভিনেতা এবং একজন সিনিয়র অভিনেতা।
তিনি আরও লেখেন, ‘যখন আপনি (কামাল) মারা যাবেন, তখন কিছু মানুষ কাঁধে লাশ নিয়ে যাবে, কাঁদবে, সেলফি তুলতে যাবে, বাকস্বাধীনতা নিয়ে। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কী লাভ? শ্যুটিং শ্যুটিংয়ের মতো লাগছে! আহার কত কাছে ছিলে, মরার আগেও ডেকেছিল, আহর… সে নেই, সিনেমা নেই। আমি একজন প্রতিভাবান অভিনেতাকে হারালাম-এটুকুই। ভাগ্য ভালো থাকলে লাশ দাফন করা যায়, চ্যানেল ক্যামেরা থাকলে।
নায়িকার ভাষ্য, ‘যারা এই পারফর্ম করবে, মরে গেলেও এই পারফরম্যান্স হবে। সামনে ভোট থাকলেও সেলফি তোলার জন্য আপনার প্রশংসা থাকবে। ‘
পোস্টে কারও নাম উল্লেখ না থাকলেও সওদাগর ও জায়েদ খানকে ছুরিকাঘাত করেছেন নতুন মিশা। কারণ রাজ্যাভিষেকের সময় লাশের কাঁধে দাফন করা হয়েছিল অভিনেত্রী কবরী, অভিনেতা সাদেক বাচ্চুসহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটিকে।
একই পোস্টে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নাকে স্মরণ করে নূতন বলেন, ‘মান্না অনেক আগেই বলেছিলেন চলচ্চিত্র একটি স্বার্থপরের জায়গা। আমি বললাম- না, সিনেমাটা ঘৃণার জায়গা। যে দেয় সে থাকে, যে দেয় না সে থাকে না। ‘
অবশেষে তিনি বললেন, ‘কেউ মারা গেলে আমি যাই না। আমি সবসময় আবার অভিনয় করতে পারি না, আমি শিখিনি। আমি মনে করি আমার শিল্পীরা বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন। ‘
নিউটন আগেই বলেছেন, মৃত্যুর পর তার মরদেহ এফডিসিতে আনতে চান না তিনি। আর কেউ যেন তার জন্য কাঁদতে না পারে। তিনি চান তার মৃত্যুর পর সবাই তার স্মৃতি মনে রাখুক।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সত্তর ও আশির দশকে সুজাতা, সুচন্দা, কবরী, শাবানা, ববিতার ভিড়ে তিনিও হয়ে উঠেছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তবে এখন তিনি নিয়মিত অভিনেতা নন, এফডিসিতে খুব একটা আসেন না। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে।
উল্লেখ্য, কমল পাটেকর মূলত খল চরিত্রে অভিনয় করতেন। চার দশক ধরে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তিনি। বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকরের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি ঢাকাই চলচ্চিত্রে কমল পাটেকর নামে পরিচিত হন।