বর্তমানে টক অবদ্যা টাউন এখন কলেজ শিক্ষিকা এবং ছাত্রের এই বিষয়টি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গনমাধমে বিষয়টি ব্যপকভাবে ছড়িয়েছে।বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই কি কারনে এই শিক্ষিকা না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে তা নিয়ে নানা কৌতুহুল রয়েছে মানুষের মধ্যে।
নাটোরে কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৬টার দিকে জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে একই দিন দুপুরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নিহত শিক্ষিক মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম মামুন (২২)। তিনি নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর নজমূল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর মামুনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত চলছে দাবি করে তিনি বলেন, মামুনের ব্যাপারে আদেশ দেবেন আদালত। আর তদন্ত শেষে ওই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত,আলোচিত সেই শিক্ষিকা এবং ছাত্র দম্পতির ঘটনাটি আবারো সবার সামনে এসেছে মুলত গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।