সাম্প্রতিক সময়ে এক কলেজ শিক্ষিকার অসম বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়, এরপর তাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে জীবন যাপন করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নিজেরাই গণমাধ্যমের নিকট বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তারা দু’জন গনমাধ্যমের নিকট নিজেদের সুখী দাম্পত্যের বিষয়টিও জানান।
গত ১ আগস্ট সাংবাদিকদের নিকট মামুন বলেছিলেন, ‘মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না।’ এই বক্তব্যের মাত্র দুই সপ্তাহ পর কলেজ শিক্ষক খায়রুন নাহারের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আর এ বিষয়ে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে তার অনেক উত্তর নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদে কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহসিন জানান, বিকেলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিজের কোনো আয় না থাকায় মামুন তার স্ত্রীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। মামুনের লেখাপড়া যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য নাটোর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন খায়রুন। এই ভাড়া বাড়ি থেকে প্রতিদিন ৩৫ কিলোমিটার দূরে কলেজে যাতায়াত করতেন। এছাড়া খায়রুন মামুনকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রায় প্রতি রাতেই খায়রুনকে ফোন করতেন সাবেক স্বামী। এ নিয়ে মামুনের সঙ্গে তাদের বিবাদ সৃষ্টি হতো। স্থানীয়দের দাবি, মামুন ফোনে খায়রুনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহসিন জানান, খায়রুনের দ্বিতীয় স্বামী মামুনকে বিভিন্ন দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন রাত ২টায় বাসা থেকে বের হন তা নিয়েও বিভিন্ন উত্তর দিচ্ছেন মামুন।
এদিকে মোটরসাইকেলটি কিস্তিতে কেনা হয়েছে বলে দাবি করেন মামুন। এছাড়া রাতে খায়রুন তার প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ফোন আসতো বলে মামুন স্বীকার করলেও ঝগড়া বিবাদের কথা অস্বীকার করেন।
মোহাম্মদ মহসিন যিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে আরও বলেন, ঐ শিক্ষিকার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তিনি প্রতিবারই ঘটনার বিষয়ে দাবি করেছেন খায়রুন নাহারকে তিনি কিছু করেননি, সে নিজেই আত্মহনন করেছেন। তবে তার প্রয়ানের প্রকৃত কারণ জানতে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।