চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে জাহির করা জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনকে জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা ছাড়াও তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেবা চৌধুরী বাদীর কাছে ৭ লাখ টাকায় একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) বিক্রি করেন। ২০২২ সালের ২০ মার্চ চুক্তির মাধ্যমে সব টাকা গ্রহণ করেন জেবা চৌধুরী। তবে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ না হওয়ায় তিনি গাড়ি হস্তান্তর করেননি। চুক্তিতে বিআরটিএ থেকে সমস্ত কাগজপত্র ক্লিয়ার করে ১৫ দিনের মধ্যে গাড়ি হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসামী বাদীর টাকা নেওয়ার পর গাড়িটি হস্তান্তর করেনি।
পরে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জামিনে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। চলতি বছরের ৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। শুনানি চলাকালে আদালত তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।