রবিবার ভারতীয় আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন পরিণীতি চোপড়া। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। রাঘব লেক প্যালেস থেকে নৌকায় করে পরিণীতিকে বিয়ে করতে যায়। তার পরনে ছিল আইভরি রঙের শেরওয়ানি।
মাথায় সাদা পাগড়ি। গলায় মুক্তার মালা। আর পরিণীতি পরেছিলেন বেইজ লেহেঙ্গা। মাথায় লম্বা ঘোমটা দিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো দিদি।
বিয়ের পর সোমবার সকালে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যায় রাঘব-পরিণীতিকে।
বিয়ের ছবি শেয়ার করে পরিণীতি লিখেছেন, ‘নাস্তার টেবিলে প্রথম আড্ডা থেকেই আমাদের হৃদয় জানত আমি এই দিনের জন্য কতটা অপেক্ষা করেছি; অবশেষে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হতে পেরে ধন্য! একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতাম না, এখন থেকে আমাদের চির যাত্রা শুরু।’
বোন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাজের কারণে বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেননি বলিউডের এই অভিনেত্রী। ছবির কমেন্ট রুমে তিনি লিখেছেন- ‘আমার দোয়া সব সময় আছে।’
পড়ন্ত সূর্যকে সাক্ষী রেখে রাজস্থানের উদয়পুরের পিচোলা হ্রদের তীরে অবস্থিত তাজ লীলা প্যালেসে রূপকথার বিয়ে সেরেছেন রাঘব-পরিণীতি। গোধূলিবেলায় ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র ‘কাবিরা’ গানে বিদায় হলো নববধূ পরিণীতির।
এদিন পরিবার ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে দুজনে হাত মেলান।
বলিউডের জনপ্রিয় ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা পোশাক পরে রাঘবের সঙ্গে সাতপাকে হেঁটেছেন এই অভিনেত্রী।
বিয়ের পর উদয়পুরের এই সেভেন স্টার হোটেলে হয় রাঘব-পরিণীতির রিসেপশন। গোলাপি রঙের শিমারি শাড়ি এবং গডিপ কাটের ব্লাউজে পরিণীতি ফ্রেমবন্দি রয়েছেন। হাতে গোলাপি রঙের চূড়া আর সিঁথি রাঙানো রাঘবের নামের সিঁদুরে।
উদয়পুরে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’ দিয়ে। এরপর গাহলুদ, সঙ্গীত ও মেহেন্দি। রাঘব ও পরিণীতি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন গায়ক নবরাজ হংস।
এই দম্পতি সঙ্গীত অনুষ্ঠানের জন্য নব্বই দশকের নস্টালজিয়া জড়ানো থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন। সেই পার্টিতে ম্যাগি এবং ক্যান্ডি ফ্লসের কাউন্টারও ছিল।
আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য উপহার ছিল মিউজিক ক্যাসেট। সেই ক্যাসেটের প্লেলিস্ট তৈরি করেছেন পরিণীতি নিজেই।
অন্যদিকে রাজনীতিক পাত্রের পক্ষে বরযাত্রীর দলে শামিল হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভগবন্ত সিংহ মানের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। উপস্থিত ছিলেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরেও।