Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সেইদিন বিএনপি নেতাদের বলা কথাগুলো বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা

সেইদিন বিএনপি নেতাদের বলা কথাগুলো বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আর সেই স্বাধীন দেশের মানুষের বড় একটি চাওয়া ছিল পদ্মা সেতু। তবে পদ্মা নদীতে সেতু হবে কোনোদিন সেইটা মানুষের কাছে কল্পনার থেকেও বেশি কিছু ছিল। তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে পদ্মা সেতু এখন বাস্তবে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা নদীর উপর। আর সেতু নিয়েই বিএনপি করেছে অনেক মন্তব্য যেই মন্তব্যগুলো অনেক বিতর্কিত হয়েছে।

প্রকল্প যাত্রা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরো সময়ই পদ্মা সেতু নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। কখনো বিরোধিতা, কখনো দুর্নীতির অভিযোগ, কখনো সেতুর পেছনে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করছেন। দলটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে প্রশ্ন করেছে। বিশ্বব্যাংক প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেছেন কেউ কেউ। আর জনসভায় নেতাকর্মীদের সেতুতে উঠতে নিষেধ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

পদ্মার তীরে জাতীয় সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে যে সেতুটি আজ দাঁড়িয়ে আছে তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে পদ্মা প্রকল্পকে লক্ষ্য করে একের পর এক রাজনৈতিক নেতারা এমন তোপের মুখে পড়েছেন।

২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা সেতুর কী হচ্ছে? ঘটছে না. এই সরকার পদ্মা সেতুও বানাতে পারেনি। ‘

পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি একই ধরনের মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি আবারো বিদ্রুপ করে বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে পদ্মা সেতু আর হবে না। আর সেতু পাকা হলে কেউ উঠতে পারবে না। অনেক রিক্সা আছে। ‘

পিছিয়ে নেই দলের অন্য নেতারাও। তিনি বেগম জিয়ার বক্তব্যের সমর্থনে সুর মেলাতে থাকেন। বিএনপি মহাসচিবের দাবি, পদ্মা সেতু টিকবে না। ১১ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, “ভুল ও ভুল নকশায় পদ্মা সেতু তৈরি হলে তা টিকবে না। এটা প্রমাণিত হয়েছে যে পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে (ভুল) নকশায়।’

তবে বিশ্বব্যাংক প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য বেশ আগ্রাসী। ঋণ বাতিলের ঘোষণার দিন বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নানা চেষ্টার পরও আওয়ামী লীগের আমলে পদ্মা সেতু হবে না। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারকে দুর্নীতির বেড়ায় দাঁড় করান। ‘

২০১২ সালের ১লা জুলাই খালেদা জিয়া বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেতুর কাজ শুরুর আগেই সরকার ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। তাই এই সরকারের আমলে। পদ্মা সেতু আর হবে না।’

দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। সমালোচিত, বিকল্প অর্থায়নের খোঁজ। এতে বলা হয়, দুর্নীতির জন্য সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। এই সরকার এখন তার দুর্নীতির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ”

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সরকারের লক্ষ্য সেতু নির্মাণ নয়, সরকারের ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করা।

২০১২ সালের ১৫ জুন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর নামে নির্বাচন করতে চায়। সেতু নির্মাণের নামে টাকা তোলার নতুন ব্যবসা শুরু করেছে। পদ্মা প্রকল্প আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ডেকে আনবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ।

কানাডার আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন বিএনপি নেতারা।

আর পদ্মা সেতু যখন রূপ নিল, তখনও বিদ্রুপ থামেনি। চলতি বছরের ২৭ মে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, আজ পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে আবার বাঁশ দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব আবারও নিজের কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। ৫ জুন তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পদ্মার দুই তীরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু তৈরী হওয়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হবে। এতে করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থারও হবে অনেক অগ্রগতি। পদ্মা সেতুকে নিয়ে যাই বলা হোক না কেনো পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে বাংলার মুখ যে কতটা উঁচু হয়েছে সেইটা ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবেনা।

About Shafique Hasan

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *