সৃজিত-মিথিলার পরিচয় এবং সম্পর্কের সূত্রপাত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকে ছোট্ট একটি শব্দ ‘হাই’ দিয়ে। বাংলাদেশের রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অবশ্য কোলকাতার নামকরা পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নিকট হতে আসা ঐ সম্ভাষন দেখেও খুব একটা পাত্তা দিতে চাননি সেই সময়। বরং মিথিলা তাকে শুনিয়ে দেন যে, অপরিচিত কোনো মানুষের সাথে তার কথা বলাটা কখনও উচিত নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে একটি গণমাধ্যমের সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান মিথিলা। মিথিলা গণমাধ্যমকে বলেন, সৃজিতের সাথে যে সময় কথা বলা শুরু করে সেটা সাধারণভাবেই ফে’সবুকে কথা বলতেন। কখনো তিনি ভাবেননি যে তাদের সম্পর্কটা ভিন্ন দিকে যাচ্ছে এবং একটি নিগুঢ়তা পেতে যাচ্ছে।
সৃজিতই মিথিলাকে ফে’সবুকে নক করেছেন জানিয়ে মিথিলা আরও বলেন, সৃজিতের ফে’সবুকে আমার আইডির সাজেশন যাচ্ছিল। তখন নাকি সৃজিত একটু আগ্রহ দেখিয়েছিল। প্রথম যখন আমাকে হাই বলে, তখন আমি চিনতে চাইলাম লোকটা কে? কমনফ্রেন্ড কে কে আছে? আর তার প্রোফাইলটা ভেরিফায়েডও ছিল না। আসলেই হাই বলা মানুষটি সৃজিত কি না, সেটাও বোঝার অপশন ছিল না। মনে মনে চিন্তা করেছি সত্যি হতেও পারে, আবার না–ও হতে পারে। এরপর আমি রিপ্লাই দিলাম। তখন দেখলাম, এটি আসলেই সৃজিতের প্রোফাইল। তারপর ভাগ্যে যা ছিল তাই হলো।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় হয় বাংলাদেশের অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। ওই বছরই ৬ ডিসেম্বর প্রণয়ে বাঁধা পড়ে সৃজিলা হন এই দম্পতি।
কলকাতা আর ঢাকার মধ্যে খুব বেশি দূরে নয় সেটা মিথিলা ও সৃজিত আবারও তা প্রমাণ করেছেন। মিথিলা সৃজিতের ভেতর সরলতা এবং পরোপকারী দৃষ্টিভঙ্গি খুজে পেয়েছিল, যা তার প্রতি তার অনুভূতি জাগিয়েছিল। মিথিলা একজন বাংলাদেশের বিনোদন জগতের একজন অভিনেত্রী এবং গায়ক, এবং সঙ্গীতে তার রুচি তার সুরেলা কণ্ঠের মতোই পরিমার্জিত যেটা বাস্তবিক দিক থেকে সৃজিত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে এই বৈশিষ্ট্যগুলি মিথিলার প্রতি তার মনকে আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রেখেছিল।