প্রায় দুই বছরেরর বেশি সময় ধরে বিশ্ব জুড়ে বৈশ্বিক মাহামরি দেখা দিয়েছে। এই মাহামারির প্রকপে গোটা বিশ্বের ধনী-গরীব সকল দেশেই নানা ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি প্রবাসী শ্রমিকরাও বেহস বিপাকে পড়েছে। তবে সম্প্রতি নানা বিধি-নিষেধের মধ্যে দিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের গ্রহনের বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কয়েটি দেশ। সম্প্রতি স্পন্সরে শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ করেছে ইতালি।
ইতালিতে ৬৯ হাজার ৬০০ কর্মী নেওয়ার গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। এর আগে ১২ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্ন তারিখে আবেদন জমা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৭ জানুয়ারি অ-মৌসুমী এবং ১ ফেব্রুয়ারি মৌসুমী। এইভাবে, আবেদনটি একটানা ১৭ মার্চ পর্যন্ত জমা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, দুটি বিভাগ রয়েছে: যারা অ-মৌসুমী ভিসায় আসবেন তারা দুই বছরের স্টে-পারমিট পাবেন এবং যারা মৌসুমী ভিসায় আসবেন তারা বৈধতা পাবেন ৯ মাসের। জানা গেছে, এই ২০২২ সালে সাধারণ স্পন্সর বাংলাদেশিদের জন্য আবেদন করা খুবই কঠিন হবে। এর একটি কারণ হলো, যেসব ক্ষেত্রে নন-সিজনাল স্পন্সররা দিয়েছেন, সেসব খাতে বাংলাদেশিদের তেমন মালিকানা নেই। নির্মাণ, ভারী পরিবহন, পর্যটন ও বড় হোটেল ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ফলে অ-মৌসুমী স্পন্সর পাওয়া কঠিন হবে। এই সেক্টরটি বিভিন্ন দেশের ২৭ হাজার ৭০০ শ্রমিক আসতে পারবে বিভিন্ন দেশ থেকে, যার মধ্যে ১৭,০০০ বিশেষভাবে আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, কোরিয়া (কোরিয়া প্রজাতন্ত্র), কোস্টা ডি অ্যাভোরিও, অ্যাগিটো, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা। , গিয়াপন, গুয়াতেমালা, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলদোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, ডেলনর্ড, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তিউনিসিয়া, ইউক্রেন। অন্যদিকে বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের ৪২ হাজার শ্রমিক মৌসুমী ভিসায় আসতে পারবেন। এই সেক্টরে অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে, ২০২০ মৌসুমী ভিসা এখনও জারি করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এ বছর জমা দেওয়ার পর কতজন স্পন্সর আসবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
জাসদের আইন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুজ্জামান আনিস বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি ইতালিতে ঘোষিত নন-সিজনাল (স্পন্সরড) ভিসার আবেদন আগের বছরের মতো উন্মুক্ত ছিল না। এবার আপনি এখানে মাত্র তিনটি বিভাগে জমা দিতে পারবেন। মানুষ নির্মাণ, ভারী যানবাহন চালক, বড় আবাসিক হোটেল এবং পর্যটনে আবেদন করতে পারবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এখানে উল্লিখিত ক্যাটাগরির মালিকদের সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসীদের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। এটি স্পনসরশিপের জন্য আবেদন করা খুব কঠিন করে তোলে। সেক্ষেত্রে কৃষির জন্য মৌসুমী ভিসার জন্য আবেদন করা অনেক সহজ। ভালো মালিক পেলে ৪/৫ মাসের মধ্যে নুল্লাওস্তা (ভিসা) পাওয়া সম্ভব।
বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে প্রতিবছর দরিদ্র দেশ অনেক থেকে অসংখ্য নাগরিক জীবিকার লক্ষ্যে পাড়ি জমিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেক দেশ নানা ধরনের নিয়ম নীতি অনুসরন করে থাকে। প্রত্যেক প্রবাসী শ্রমিকদের এই সকল নিয়ম নীতি অনুসরন করতে হয়।