আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং পরিচ্ছন্নভাবে সম্পন্ন হয়, সেজন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠকে বসে। কোন ভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছে। কিন্তু দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসির বৈঠকে অংশ নেয়নি। তবে নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে আরও দুই লাখ সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নির্বাচন ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ করার কথা ভাবছে। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও ভোটকেন্দ্রের প্রবেশপথে এ ডিভাইস বসিয়ে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আর এই কারণেই সহিং/’সতা রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
কুসিকের সাফল্যের পর এবার আরও বড় পরিসরে ভাবছে ইসি। এ ক্ষেত্রে পুরো সংসদ নির্বাচন সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চান ইসি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পান। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখের বেশি। চলমান আপডেটের পর ভোটার সংখ্যা ৫০ লাখ বাড়বে। ফলে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়বে। এজন্য অন্তত দুই লাখ সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান বলেন, সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এতে প্রায় ১২-১৪ কোটি টাকা খরচ হবে। এটা খুব একটা ভালো নির্বাচন আয়োজনের জন্য খুব বেশি কিছু নয়। কেউ যদি এত বিপুল সংখ্যক সিসি ক্যামেরা সরবরাহ করতে পারে আমরা অবশ্যই দেব।
এদিকে ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন কতটুকু সুষ্ঠুভাবে সম্ভব, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ইসি দলগুলোর সাথে বৈঠকের পর জানিয়েছে, ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ এর পক্ষে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নেই, তারা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠান চায়। তাদের দাবি ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপি সম্ভব।