ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের পর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পদপ্রার্থী একই পরিমান অর্থাৎ সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছে যার কারনে ঐ ভোট কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ (শনিবার) অর্থাৎ ২০ নভেম্বর বিকেলের দিকে আবুল খায়ের যিনি গোকর্ণ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, আগামী ২৪ নভেম্বর বুধবার সকাল ৮টা হতে ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ঐ দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় ভোটগ্রহণ ফের অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গোকর্ণ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ৭ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১ নং ওয়ার্ডের গোকর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৪০৫ জন ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ৪৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কেন্দ্রে অনুপস্থিত ভোটার সংখ্যা ৮২৫ জন। প্রাপ্ত ভোট থেকে বাতিল হয় ৮১ ভোট। ভোট গণনায় মাসুদুর রহমান (মোরগ) এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন (টিউবওয়েল) সমান সংখ্যক (৪৯০) ভোট পান।
মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। নির্বাচনে কে জিতবে বা হারবে সেটা নিয়ে আমাদের কোনো ধরনের অভিযোগ নেই।
আবুল খায়ের যিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি জানান, গেল ১৮ নভেম্বর মো. আতিয়ার রহমান যিনি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ এর উপসচিব হিসেবে রয়েছেন তার স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হলে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডে যে দু’জন সাধারণ সদস্য পদে লড়েছেন তারা কম বা বেশি ভোট পাননি, সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। যার কারনে ঐ ওয়ার্ডে ফলাফল অমীমাংসিত অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। ফলে সেখানে আবারও ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।