সরকার জোর করে দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকে একনায়কতন্ত্রের রাজত্ব কায়েম করেছে। আর ক্ষমতা টিকে থাকার জন্য বিরোধী মত গুলোকে বিভিন্ন ভাবে সরিয়ে দিয়েছে। সরকারে এমন কর্মকান্ডের পক্ষে কথা বলে আরও উৎসাহ দিচ্ছে নাম ধারী কিছু ব্যক্তিত্ব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয় নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু নিচে দেও/য়া হলো।
বাংলাদেশের সো কল্ড পোগতিবাদি আর সাকুলারদের যেই ক্যারেক্টারটা সবচেয়ে বিরক্তিকর সেটা হচ্ছে তাদের অন্যকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার খাইস্লত। এইটা সব পোগতিবাদি বা বামদের মধ্যে পাবেন, সেইটা অনন্ত খলিল হোক, মগা হোক আর এই নারীবাদীরাই হোক। গতকালকের ভিডিও বানাইতে গিয়া আমি যারপরনাই আশ্চর্য হইছি এদের লেখাপড়া নিয়া বাগাড়াম্বর দেইখ্যা। সবাই গবেষক, সবাই পিএইচডি। পিএইচডি শেষ করতে পারে নাই বারো বচ্ছর ধইরা ঘষ্টাইতেছে তাও সে পিএইচডি। দুয়েকজন ছাড়া বেশীরভাগের কোন প্রফেশন্যাল এচিভমেন্ট নাই। মানে দুনিয়ায় সেলেবল না, তার মেধা বা দক্ষতা সেলেবল না। অথচ ভাবেই একেকটা আম্বিয়া।
আমার একটা হাইপোথিসিস হইতেছে এদের এগ্রেসিভনেস প্রোপোরশন্যাল টু দেয়ার প্রফেশন্যাল এন্ড একাডেমিক ফেইলিওর। মানে এরা যে যতো বেশী এগ্রেসিভ তারা ততো বেশী পড়াশোনায় আর পেশায় ব্যর্থ। ধরেন অনন্ত খলিলের কথা, সে বিএ পাশ, লিটারালি বিএ পাশ তাও এমন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে যার র্যাংকিং ঢাবির চাইতে পিছে, কিন্তু সে অবলীলায় এরে ওরে মুর্খ বলে।
আমি কয়েকজন নারীবাদীর গবেষণা দেখলাম। এইগুলা এতো নিম্নস্তরের গবেষণা যে তাই নিয়া আর কথা নাই বললাম। গবেষক বইল্যা দাবী করে, তার একটাও গবেষণা আপনি অনন্ত জলিলরে দিয়াও সার্চ করাইয়া খুইজ্যা পাইবেন না। এরা বাংলাদেশের মানুষকে এতোই বেকুব ভাবে।
মগা একটা ভালো কাম কইর্যা দিয়া গেছে, ইন্টার পাশ কইর্যা বাংলাদেশের সেরা মুক্তমনা সাজছিলো। এই রাস্তা অনেকেই ধরছে। আছে ফেইসবুক, নিজের জীবনে কিছু করতে না পারলেও ফেইসবুকে তার কল্পিত ক্যারিয়ারের ছবি আকে। আমার ধারণাই ছিলোনা এইটাও সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ বইল্যা কথা। গপ্পো মারাতে পারলে মারাবে না কেন? ১৯৪৭ এর পরে যারা পশ্চিমবঙ্গে গেছে তারা সবাই দাবী করতো তারা নাকি জমিদার আছিলো। তো একজন পরিচিত উদবাস্তুদের জমিদারির জমির হিসাব করে দেখছিলো বাংলাদেশের ওয়ান ফোর্থ জমির মালিক উনার পরিচিতরা ছিলেন।
আশা করি পোগতিবাদি নারীবাদীরা আবারো বিবৃতি দেয়ার লোভ সামলাইতে পারবেন। যদিও আপনাদের এলিটপনার বেলুন ফুটানো বন্ধ হইবে না। ফুটানি মারাইলে আর এরে ওরে মুর্খ বললে, একটা একটা করে ধরে দেখায়ে দিবো তার প্রফেশনাল আর একাডেমিক এচিভমেন্ট কী?
সুলতানা কামাল তো ঠাসি খাইছেন। এইটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাইন। মনে রাখবেন আমি কইছিলাম, আইডিয়া রুলস। আপনি তখুনি বুঝতে পারবেন ফ্যাসিবাদ পরাজিত হচ্ছে যখন দেখবেন তার আইডিয়া বা বয়ানদাতারা পিছু হটতেছে। সুলতানা কামালের পিছু হটা শুধু সুলতানা কামালের পরাজয় না এইটা হাসিনার পরাজয়ের আগাম ঘোষণা।
হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিজয় সম্পুর্ন হবেনা যদিনা একইসাথে তার বয়ানদাতা, তার সেকেন্ড লাইন ডিফেন্স পোগতিবাদিদের পরাজিত এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে শক্তিহীন করা যায়।
প্রসঙ্গত, সরকার ক্ষমতায় থাকতে যে সব আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড তার বিরুদ্ধে কথা বলে পক্ষ নিয়ে সরকার আরো আগ্রাসী মনোভাব তৈরী করছে সাকুলাররা বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এদের থেকে মুক্তি না মিললে দেশে গনতন্ত্র ফিরবে না।