একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। আর এরই মধ্যে সম্প্রতি ডিজেলের দামও বৃদ্ধি করেছে সরকার। ফলে রীতিমতো নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ। তবে হঠাৎ করেই ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পরই ধর্মঘাট পালন করতে দেখা যায় চালকদের। টানা কয়েকদিন ধর্মঘাট পালনের পর বিষয়টি বিবেচনা করে শুধু ডিজেলচালিত গাড়ির ভাড়া বাড়ায় সরকার।
কিন্তু অধিকাংশ সিএনজিচালিত বাস ডিজেলচালিত বলে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। বাসচালকদের এমন জালিয়াতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বেশির ভাগ বাসেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।
সিএনজিচালিত হয়েও বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে অধিকাংশ সুপারভাইজার বলছেন, মালিক যা বলে, আমরা তাই করি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তাদের নির্দেশেই কাজ করে যাচ্ছি। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বাস মালিকদের এমন অরাজকতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনের তাগিদে বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগের ব্যাপারে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান জানান, ভাড়ার বিষয়টি নজরদারির জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইলকোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নেমেছে।
নতুন সমন্বিত ভাড়া অনুযায়ী, দূরপাল্লার বর্তমান বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা, তা বাড়িয়ে ১ টাকা ৮০ পয়সা করা হয়েছে। মহানগরে বাসের বর্তমান ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা, সেটি বাড়িয়ে ২ টাকা ১৫ পয়সা করা হয়েছে।
এ ছাড়া মহানগরে মিনিবাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সা, তা বাড়িয়ে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতি টাকা নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে এরপরও প্রতারণা করে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।