দেশ ছেড়ে অনেক মানুষ কর্ম, লেখাপড়া, চিকিৎসার কাছে বিদেশ যায়। তাদের নিরাপত্তার জন্যও সর্বদা চেষ্টা করে সে দেশের পুলিশ। দেশে যেমন কোন নাগরীক বিপদে পড়লে এগিয়ে আসে আইন শ্রংঙ্খলা বাহিনি তেমন বিদেশের মাটিতেও কোন প্রাবাসি বিপদে পড়লে তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায় সে দেশের আইন শ্রংঙ্খলা বাহিনি।
সম্প্রতি এক বাংলাদেশি তরুনী বিদেশে গিয়ে নিখোজ। ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ বাংলাদেশি তরুণী সোমাইয়া বেগমকে খুঁজে বের করতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ। ব্রিটেনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এশিয়ান শহর ব্র্যাডফোর্ড থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৭ দিন পরও তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। ব্র্যাডফোর্ড পুলিশের একজন মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশ একজন নারীসহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান পরিদর্শক মার্ক বয়েস বলেন, পুলিশ সোমাইয়াকে খুঁজে বের করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছে। ড্রোন থেকে শুরু করে ডগ স্কোয়াড, সিসিটিভি নজরে রাখা হচ্ছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ সন্দেহভাজন ও তাদের আত্মীয়দের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার আগে তাকে সর্বশেষ কালো জিন্স, টপস এবং একটি কালো স্কার্ফ পরতে দেখা গেছে।
নিখোঁজ সোমাইয়া ব্র্যাডফোর্ডের বারকারেন্ড এলাকা এবং লিডসের বেকড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ। পশ্চিম ইয়র্কশায়ার পুলিশ অনুরোধ করেছে যে 25 শে জুন সোমাইয়াতে পাওয়া যে কোনও ফুটেজ বা তথ্য বিনি স্ট্রিট এবং থর্নবেরি রোডের আশেপাশে থাকা কোনও গাড়ির ক্যামেরা বা সিসিটিভিতে পাওয়া যাবে। ব্র্যাডফোর্ডের বাসিন্দা শিরিন খান বলেন, নিখোঁজ সোমাইয়া সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং খবরের অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগি তরুনীর বাবা-মা বেশ ভেঙ্গে পড়েছে। অনেকের ধারনা সে তার প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে। আবার অনেকে মনে করছেন তার সাথে খুব খারাপ কিছু হয়েছে।