গোপনে বিয়ে করে প্রকাশ্যে একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করে আলোচনায় আসেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমাইরা। ( Subah Shah Humaira. ) গত বছরের ডিসেম্বর ( December ) মাসের এক তারিখে তাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন পর বিয়ের খবর বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই সুখবর বেরিয়ে আসতেই শুরু হয় নানা বিতর্ক। এক মাসের মধ্যে এই আলোচিত দম্পতির মধ্যে ফাটল ধরে। সুভা ( Subha ) বাদী হয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে খারাপ ছবি নির্মান আইনে যৌতুকের দাবিতে মামলা করেন।
অভিনেত্রী শাহ হুমাইরা সুভা ( Subha ) ( Shah Humaira Subha ) সঙ্গীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেনকে ( Elias Hossain ) ১ ডিসেম্বর ( December ), ২০২১ তারিখে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর সুভা ( Subha ) বাদী হয়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে খারাপ ছবি নির্মান সংশ্লিষ্ট আইনে যৌতুকের দাবিতে মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শুভর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ইলিয়াস। বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন ইলিয়াস। সেখানে তিনি বলেন, এর আগেও সুবাহের বিয়ে হয়েছিল। তারপরও সুবাহ আমার বিয়ের সময় কেবিনেট লেটারে নিজেকে কুমারী বলে উল্লেখ করেছিল। তিনি আমাকে প্রতারিত করেছে। একইভাবে ২০১৭ সালে ( ) ইলিয়াসের নামে মামলা করা হয়। নোমান সরকার ( Noman government ), মোঃ মাহফুজার রহমান ( Md. Mahfuzar Rahman ) লিখন, মোঃ সুবাহ ( Md. Subah ) বাদী হয়ে আল ইমরানের ( Al Imran ) নামে গাইবান্ধা সদর থানায় খারাপ ছবি নির্মান সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেন।
ইলিয়াস মামলার কপি দেখিয়ে সুবাহের বক্তব্য পেশ করেন। মামলা অনুসারে, তিনি (সুবাহ) একটি অবৈধ সম্পর্কের সাথে ধরা পড়েছিলেন, যা তার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়েছিল এবং পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। সাক্ষী হিসেবে সুবাহের স্বামীর নাম লেখা হয়। ইয়াসির আরাফাত। ( Yasser Arafat. ) এ বিষয়ে ইলিয়াস বলেন, মামলায় সুবাহ নিজেই বিবাহিত বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মন্ত্রিসভার চিঠি দেখান, দেখাব। এখন দুটি জিনিস- এক, সুবাহ যদি বলে সে বিয়ে করেনি, তাহলে সে পুলিশের সাথে প্রতারণা করেছে। তার মামলা ছিল ভুয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করা। আর যদি বলে সে বিয়ে করছে তাহলে কুমারী উল্লেখ করে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। এর জন্য প্রতারণার মামলা হবে।
ইলিয়াস আরও জানান, ২০১৪ সালে সুবাহারকে ( Subaharke ) ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি গর্ভবতী ছিলেন, সেই রিপোর্ট আসছে। ২০১৭ সালে অন্য একজন ব্যক্তি খারাপ ছবি নির্মান সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে মামলা করেছিলেন। এটা প্রমাণ করে যে তিনি এটাকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। ইলিয়াসের সাথে সুবাহের বিয়ের কাবিন ৭,৭৭,৭৭৭/= (সাত লাখ বাহাত্তর হাজার সাতশত সাতাশ) টাকা। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) (১০ মার্চ ( March )) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহ বলেন, যা পাব তাই দেবে। এটার জন্য যতটা দৌড়াতে হবে ততটা দৌড়াবো।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস বলেন, দেনমোহর দুইবার দিয়েছি। আমি আবার দেব, যেহেতু টাকাই এর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু তিনি (সুবাহ) তা দেওয়ার জায়গা রাখেননি। আমার নামে নানা মিথ্যাচার ছড়ানো হয়েছে। তার ধারণা, আমি তার কাছে ফিরে যেতে পারি। সুবাহ তার কাছে ফিরে আসার জন্য গত কাল আমাকে টেক্সট করেছিলো। ইলিয়াস আরও জানান, দুদিন আগে ও পরে অপরাধীর বিচার হবে। আমি অপরাধী হলে বিচার চাই। সর্বোপরি, আমি বলতে চাই যে আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করা হয়েছে। সেটা একদিন বৈধ প্রমাণিত হবে।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সুবাহার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ইলিয়াস। তাদের দাম্পত্য কলহ এখন চরমে পৌঁছেছে। এদিকে বুধবার (১৬ মার্চ ( March )) সকালে এক ভিডিও বার্তায় সুবাহারের নামে একাধিক অভিযোগ করেন ইলিয়াস। সেখানে তিনি বলেন, এর আগেও সুবাহের বিয়ে হয়েছিল। তারপরও সুবাহ আমার বিয়ের সময় কাবিননামাতে নিজেকে কুমারী বলে উল্লেখ করেছিল। তিনি আমাকে প্রতারিত।