Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, তেলের দামের একটি জ্বালা আছে, তেল কিনতে গিয়ে জ্বালা বেড়ে যায়

সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, তেলের দামের একটি জ্বালা আছে, তেল কিনতে গিয়ে জ্বালা বেড়ে যায়

সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাংলাদেশের অনেক সুপরিচিত একটি মুখ। তিনি একজন সত্যের দিশারী আর তাই বাংলাদেশের ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরণের অমানবিক ঘটনা তুলে ধরেন সবার সামনে। এছাড়াও তিনি নানারকম দৃষ্টিকটু পরিস্থিতিরও চিত্র তুলে ধরেন মানুষের সামনে। কোনোরকম অন্যায় কাজ তিনি সহ্য করতে পারেন না এবং সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করেন। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন খুব প্রতিবাদী একজন মানুষ। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে তুলে ধরে বলেছেন তেলের দামের একটি জ্বালা আছে, কিনতে গিয়ে জ্বালা বেড়ে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আইন পেশা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আলোচিত ঘটনায় কখনো ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়ে, কখনো দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লাইভে এসে তিনি বলেন, দেশে তেল, পেট্রোল ও অকটেনের দামের চেয়ে দুর্নীতি বেড়েছে। তেলের দামে জ্বালা আছে, কিনলে জ্বালা বাড়ে।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “দেশের সরকারের হয়ে যারা তেল ও পেট্রোল কেনেন (সরকারের হয়ে জ্বালানি তেল কেনে পেট্রোবাংলাসহ) তারা গত এক বছরে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।এটা আমার কথা না, যারা এসব প্রতিষ্ঠান অডিট করেন তাদের কথা। এরপর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না আমার জানা নাই। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, তেলের দামে জ্বালা আছে, তেল কেনার সময় জ্বালা বাড়ে। সবাই বলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু কত? এ ধরনের বৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনেছেন পেট্রোবাংলার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না বলে সংসদে আইন পাস হয়েছে। যেহেতু আইন ছিল বঙ্গবন্ধুকে প্রাণনাশের পর কোনো মামলা করা যাবে না। একইভাবে পেট্রোবাংলার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।

জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ব্যারিস্টার সুমন। এরপর সমাজের হাজারো অসঙ্গতি নিয়ে কাজ শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মত এমন সত্যবাদী এবং প্রতিবাদী সন্তান যদি বাংলার প্রতিটি ঘরে থাকতো তাহলে বাংলা থেকে অন্যায় কাজ একেবারে নির্মূল হয়ে যেত। কেননা কেউ অপরাধ করে ছাড় পেত না, তার অপরাধের প্রতিবাদ জানিয়ে সবার সামনে তুলে ধরা হতো। সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একজন মানবদরদীও বটে। তিনি দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বাদা সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যান।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *