পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার কাকার একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে প্রতিযোগিতাটি পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়নি। এটি মালদ্বীপে সংগঠিত হয়। কিন্তু এর নাম ছিল ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’। ১৪ সেপ্টেম্বর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় শত শত তরুণীর মধ্যে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন এরিকা রবিন (২৪) নামের এক তরুণী। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শত শত পাকিস্তানি মেয়ে নিবন্ধন করেছে। বিভিন্ন পর্যায় পেরিয়ে সেরা পাঁচজন ফিনিশার নিয়ে মালদ্বীপে ফাইনাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি এই বছরের নভেম্বরে এল সালভাদরে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে।
কিন্তু সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হওয়ার পর এখন বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের করাচির এই তরুণী। পাকিস্তানের ভেতর থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করে কীভাবে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তা খুঁজে বের করতে তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেন। এছাড়া ধর্মীয় নেতারাও এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়াও, কাকার ঘটনাটিকে “লজ্জাজনক” এবং “পাকিস্তানি নারীদের মানহানিকর এবং শোষণমূলক” বলে অভিহিত করেছেন, ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান এখন পর্যন্ত তার কোনো তরুণীকে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেয়নি।
যাইহোক, তীব্র সমালোচনা এবং তার নিরাপত্তার হুমকির কারণে, এরিকা রবিন বলেছিলেন যে তিনি নিজে আর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না।
তরুণী আমেরিকান মিডিয়া ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন যে তিনি প্রথম পাকিস্তানি যিনি মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, যা তিনি দেশের জন্য একটি বড় দায়িত্ব বলে মনে করেন। তবে এখন আর এতে অংশ নেবেন না তিনি।
এরিকা, একজন পেশাদার মডেল, একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন দেখে অন্যান্য শত শত তরুণীর মতো সাইন আপ করেছিলেন
তিনি বলেন, আমি এমন কিছু করব না যাতে আমার দেশের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।
এদিকে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান’ আয়োজন করেছে দুবাইভিত্তিক সংগঠন ইউজিন গ্রুপ। গত মার্চে, সংস্থাটি পাকিস্তানে সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার ঘোষণা দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল।