আয়কর জমা দিয়ে বর্তমানে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কর্মচারীরা আয়কর থেকে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ৫০ হাজার টাকার সুবিধা পাবেন।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হল বেতন বা পেনশন থেকে উপার্জন করা লোকেদের দেওয়া ছাড়। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের জন্য পুরানো সিস্টেমের অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন সীমা ৫০ হাজার টাকা। ভারতের বাজেট ২০২৩ অনুযায়ী, বেতনভোগী করদাতারা এখন ৫০,000 টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের জন্য যোগ্য। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে ৫০,000 টাকার একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও পাওয়া যায়। প্রায় সব কর্মচারী এই ছাড় পেতে পারেন। এর বাইরে মধ্যবিত্ত বেতনভোগীরা এর থেকে কর ছাড় পেতে পারেন। কর্মচারী ছাড়াও পেনশনভোগীরাও এর সুবিধা নিতে পারেন।
চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বেতন ভোগী শ্রেণি এবং পেনশন ভোগীদের জন্য নতুন কর ব্যবস্থায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যদি কোনো চাকরিজীবী অর্থাৎ বেতনভুক্ত করদাতা নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থা বেছে নেন, সেক্ষেত্রে তিনি একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাবেন। ২০২৩ সালের বাজেট অনুসারে, পেনশনভোগীরা নতুন আয়কর ব্যবস্থার আওতায় বেতন বা পেনশন থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর ৫০ হাজার টাকার একটি স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন দাবি করতে পারেন। আর পারিবারিক পেনশন ভোগীরা ১৫ হজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাবেন।
বর্তমানে অনেক কর্মচারী আইটিআর ফাইল করছেন। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। একেবারে শুরুতেই সঠিক আইটিআর ফর্মটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। মোট আয় ৫০ লাখের কম হলে একজন ব্যক্তি ITR-১ ফাইল করতে পারেন। তবে তাকে অবশ্যই দেশের বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও, আইটিআর ফাইল করার সময় ট্যাক্স পোর্টালে প্রদেয় তথ্যের সাথে ফর্ম ১৬-এর তথ্যের মিল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বাড়ি ভাড়া বা ঋণের ওপর সুদ গণনা করলেও ছাড় দেওয়া হয়।