‘ডয়েচে ভেলে খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চান’ টকশোর বিষয় ছিল সুইস ব্যাংকের টাকা নিয়ে কে মিথ্যা বলছেন? সুইস রাষ্ট্রদূত, নাকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী? আলোচনায় ছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান অভিযোগ করেন, সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি সেওয়ার্ড দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলেছেন। এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। যদিও রেজা কিবরিয়া দাবি করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিথ্যা বলছে।
খান মনে করেন যে সুইস রাষ্ট্রদূতের সুইস ব্যাংকে কথা বলা উচিত ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেন, “ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোথাও দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করা নেই। দুদক পাঁচ বছর ধরে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে।
রেজা কিবরিয়া অবশ্য বলেন, “অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত।”
তিনি বলেন, “আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় আস্থা রাখতে পারছি না। সুইস রাষ্ট্রদূতের কথাই ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সরকারের নীতিনির্ধারকরাও ভুয়া নির্বাচনের প্রচার করেছে।”
পরিচালক খালেদ মুহিউদ্দিন বলেন, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছিলেন, দুদকের হাত বাঁধা।
এ মন্তব্যের বিরোধিতা করে খুরশীদ বলেন, দুদক দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কাজ করছে। তার মতে, দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রবাসীরা সুইস ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। তারা দুই-তিন দশক ধরে দেশের বাইরে থাকেন। “আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে এর কোনো উত্তর থাকবে না,” বলছেন রেজা কিবরিয়ার।
দুদক কি অযোগ্য, ক্ষমতা নেই? খালেদের প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ বলেন, সরকার কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করেনি। অনেক মামলা সিআইডি থেকে দুদকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তারা উভয়েই মনে করেন যে আর্থিক জালিয়াতির শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে সবকিছুর দাম উর্ধমুখী। সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে জীবন-যাপন করা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরাকর আশ্বাস দিয়েছেন তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।