বিভিন্ন দেশের সাথে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বন্ধুত্ব সম্পর্ক বজায় রেখে চলে আষছে সেখানে কারো সাথে কোন বৈরিতা সম্পর্ক নেই, মুলত অসাম্প্রদায়িক একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই চিহ্নিত রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশের ন্যয় সুইসদের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিবাচক ছিল সবসময় কিন্ত সম্প্রতিক কর্মকান্ডে এই কুটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভিন্ন মত তৈরি হয়েছে যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যট্যাস দিয়েছেন জুলকার নাইন সায়ের। পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাস তুলে ধরা হল-
একজন সুইস রাষ্ট্রদূত সংবাদ সন্মেলনে অসত্য তথ্য কখনোই প্রদান করবেন না।
ট্রান্সপারেন্সির দুর্নীতি বিষয়ক সূচকে সুইজারল্যান্ডের স্কোর ১০০ তে ৮৪, যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ তে ২৬, এই একটি তথ্যই সম্ভবত দুটো দেশের পার্থক্য পরিস্কার বুঝিয়ে দেয়।
সুইসদের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৭২ সাল থেকে, আর গত বছর (২০২১) সালে বাংলাদেশ প্রায় ৯২৪ মিলিয়ন CHF ( ১ CHF : ১০৬ টাকা) সমপরিমান পন্য রপ্তানি করে সুইজারল্যান্ডে।
সুইসরা খুবই সৎ ও স্পষ্টবাদী হিসেবে সুপরিচিত, বাংলাদেশের আমলা-মন্ত্রীদের মত অসৎ তারা নন এবং অসত্য তথ্য প্রদানের তেমন কোন নজির তাদের নেই। অন্যদিকে আমাদের মন্ত্রী-আমলাদের দিনই অনেকটা শুরু হয় মিথ্যা বলে।
জনাব মোমেন বাংলাদশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূতকে মিথ্যেবাদী বলে আবারো নিজ অপেশাদার আচরন প্রদর্শন করলেন। কিন্তু এতে সুইসদের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যে তিক্ত হয়ে গেলো, তার খেসারত কে দেবে?
আব্দুল মোমেন নাকি বাংলাদেশ?