সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বাংলাদেশের সীমান্তেও পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশের সঙ্গে নয়, মিয়ানমারের আরাকানের ভেতরে যুদ্ধ চলছে; সীমান্তে পৌঁছে গেছে। ফলে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আর এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন তারা। এরই মধ্যে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে চীনের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সকালে বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমার থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর ১৪ সদস্য পালিয়ে তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। বান্দরবানের তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে তাদের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি বিজিবির জনসংযোগ কার্যালয় সময় নিউজকে নিশ্চিত করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তুমব্রু এলাকায় বিজিবি ক্যাম্পের সিও মো. সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
ভোরে মিয়ানমারের সীমান্ত শিবির দখলকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল থেকে দফায় দফায় গোলাগুলি চলছিল। আজ আবারও ভোর থেকে অবিরাম গোলাবর্ষণ, মর্টার শেল ও রকেট লঞ্চারের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা প্রকম্পিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুলেট ও রকেট লঞ্চার উড়ছে। এদিকে তাদের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।