চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ১৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ( Sitakunda, Chittagong ) কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে আহত রোগীদের নিয়ে উন্মাদনায় পড়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি ( CMC )) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ।
এবি “পজিটিভ” এবং ও “নেগেটিভ” এবং “এ” নেগেটিভ রক্তের চাহিদা বিশেষভাবে বেশি। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং রক্তের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে একটি চিঠি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন চমেক হাসপাতালে এবং বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
সেই অনুরোধে সাড়া দিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজে পরপর দুটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। প্রথমটিতে তিনি লিখেছেন, রাত ১১টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। কিছু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন। চট্টগ্রামের সকল সরকারি/বেসরকারি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ফায়ার সার্ভিসকে খুব দ্রুত সীতাকুন্ড যেতে বলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম হাসপাতালে আহতদের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে ৷ আশেপাশের সবাই রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকুন৷ আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন৷
তিনি পরের স্ট্যাটাসটিতে লেখেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কোন আহত ব্যক্তির জরুরী ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হলে কমেন্টে জানাবেন৷ আমি পেজে পোস্ট করে দিবো যাতে সেই রক্তের গ্রুপের কেউ গিয়ে সাথে সাথে রক্ত দিতে পারে৷
বাংলা ছোট পর্দার অত্যন্ত জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। একাধিক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন সবার মনে। তবে তিনি যে কেবল পর্দায় হিরো নয়, বাস্তব জীবনেও যে হিরো- এর প্রমান পেলেন সকলেই।