Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সীতাকুন্ড অগ্নিকান্ড: বাড়লো প্রয়াতের সংখ্যা, শুরু মাইকিং

সীতাকুন্ড অগ্নিকান্ড: বাড়লো প্রয়াতের সংখ্যা, শুরু মাইকিং

চট্টগ্রাম ( Chittagong ) জেলার সীতাকুন্ড ( Sitakunda ) থানাধীন সোনাইছড়ি ইউনিয়ন এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এক ভ”য়াব/হ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একের পর এক বিস্ফো’/রিত হয় কেমিক্যাল ভর্তি কন্টেইনার। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনের মতো মৃ’/তদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রয়াত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন দমকলকর্মী। গতকাল শনিবার রাতের ( Yesterday Saturday night ) দিকে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে এ ঘটনায় হতাহত ও দগ্ধ হয়েছেন ৪০০ এর বেশি মানুষ।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভ/’য়া”বহ বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ২৫ জনের মৃ/’তদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়াতদের মধ্যে পাঁচজন দমকলকর্মী রয়েছেন। শনিবার রাতে এ দুর্ঘটনায় চার শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহ”ত হয়েছেন।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ ও দমকলকর্মী রয়েছেন। তাদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনেককে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কন্টেইনার রয়েছে। রাসায়নিক পাত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর কনটেইনারগুলো একের পর এক বি’/স্ফো’রণ ঘটতে থাকে। বি”/স্ফো”রণে ঘটনাস্থল থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরের একটি এলাকা কেঁপে ওঠে। আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।

দগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালসহ সব হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, ছুটিতে থাকা সব চিকিৎসক ও নার্সকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এত রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ নেই। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, স্যালাইন ও ব্যথানাশক দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে আশপাশের উপজেলা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক আনা হয়েছে। তবে আমরা চিকিৎসার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছি না।

চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজীব পালিত জানান, দগ্ধদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশ’/ঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। এ জন্য রক্তের চেয়ে বেশি মাইকিং করা হচ্ছে। আশেপাশের সবাইকে হাসপাতালে এসে রক্ত ​​দিয়ে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে কেঁদে ফেলেন এবং কাঁপতে থাকেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে একের পর এক আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং বার্ন ইউনিট পুরো ভরে গিয়ে বাইরে অনেকের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার জন্য সেখানকার মানুষের মাঝে এক উদ্বেগময় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *