সেনাবাহীনি হলো বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহীনির মধ্যে সবথেকে বড় বাহীনি। তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে রক্ষা করে থাকেন দেশকে আর এমন শপথেই সেনা সদস্যরা অঙ্গীকারবদ্ধ। সকল ধরণের অশুভ শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে থাকে সেনা বাহীনি। সম্প্রতি সীতাকুন্ডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন বললেন ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ফায়ার সার্ভিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন।
তিনি বলেন, কন্টেইনারগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং শিগগিরই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। কথা হয় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে। আশা করি তারা তাদের সামর্থ্য দিয়ে রাত ১০টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে। এটি অন্ধকার হয়ে গেলে, এটি লাইটার দিয়ে আলোকিত হবে। আশা করি এখান থেকে আর কোনো আঘাত বা মৃত্যু হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত দুটি ড্রেন রয়েছে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই ড্রেন দিয়ে রাসায়নিক পদার্থ বের হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমাদের প্রকৌশলীদের দল ড্রেনগুলিকে অবরুদ্ধ করেছে এবং ড্রেনগুলির মধ্য দিয়ে রাসায়নিক পদার্থ যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। উপরন্তু, যদি আরও কোন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমরা তা করব।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থেকে জনগণের সেবা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, দুর্যোগের মুহূর্তে আপনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশে থাকবেন। আমরা সারারাত প্রস্তুত ছিলাম, সকালে ডিসি-এসপি বললেই আমরা এখানে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলাম।
মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন বলেন, আরও দাঙ্গা ও নাশকতা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনা সম্পূর্ণ একটি দৈবাৎ বিষয়। কখন কি ঘটবে সেইটা আসলে কেহই জানেনা। প্রয়াতরা কি জানতো যে তাদের আর কোনোদিন হবেনা বাড়িতে ফেরা। কাছের মানুষদের হারিয়ে পরিবারের মানুষরা আজ দিশেহারা। এমনটা হবে কেউ কখনো আশা করেনি। ভাগ্যের কি কঠোর পরিনতি।