অনেক আগেই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছিল যে, যদি বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষভাবে স্থাপিত বার্ন ইউনিটে বিপ”র্যয়কর পরিস্থিতি নেমে আসবে। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেটার মাধ্যমে এই হুঁশি”য়ারি সত্য হিসেবে প্রমাণিত হলো। অতিরিক্ত রোগীর চাপে বার্ন ইউনিটসহ হাসপাতালের স্থান সংকুলন নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবস্থা বেগতিক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। অতিরিক্ত ৭০ জন রোগীর চাপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবস্থা নাজুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে আগু’নে দ”গ্ধ রোগীর অবস্থা খুব গু’রুতর।
মাত্র ২৭ শয্যা বিশিষ্ট এই ইউনিটে ৫০ জনেরও বেশি রোগীকে সবসময় সেবা দেওয়া হয়। তবে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ রোগীর চাপে ইউনিটের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় াওনেক রোগীকে অন্যান্য ওয়ার্ড ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতে বাধ্য করা হয়।
চমেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যক্ষ রাতে তাদের একটি ওয়ার্ড খালি করায় রোগী রাখা সম্ভব হয়েছে। তা না হলে রোগী রাখার জায়গা ছিল না।
চীন ২০০৮ সাল থেকে একটি বিশেষ ১০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। কিন্তু জায়গা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে গেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আহসান জনপ্রিয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, শিগগিরই কাজ শুরু হবে, সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধিদফতরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, নানা জটিলতা সত্ত্বেও এখন বার্ন ইউনিট তৈরিতে কোনো বাধা নেই।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, এ মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি আগে কখনো ঘটেনি। ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছেন।
সরকারি এ বার্ন ইউনিটই বৃহত্তর চট্টগ্রামের তিন কোটি মানুষের একমাত্র ভরসা।
সোমবার (৮ জুন) ২২ জনের মৃ’/তদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা দিতে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। সিআইডির ফরেনসিক টিমের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিপোর্ট আসতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে। এদিকে সংক্রমণ এড়াতে বার্ন ইউনিটে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল সেটা চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ তেমন কোন আমলে নেয়নি। যে ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে এর থেকে সরকারের টনক নড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারের উচিত সকল ধরনের কেমিক্যাল কারখানাগুলো বা অন্য কোন কেমিক্যাল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ স্থান নির্বাচন করা।