গত শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয় ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইমলাম রনি (২০)। তার অকাল মৃ্ত্যুতে যেন গোটা পরিবার-পরিজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। অন্যদিকে তিনি ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষণ ব্যক্তি।
‘বাবা, আমার সব শেষ। এখন সে আমাকে বাবা বলবে না, জেলা দেখতে যাবে না। আমার স্বপ্ন ছিল আমার ছেলেকে ডিফেন্সে চাকরি দেব। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়ে আবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হল। ‘
এমন কথা বলে কাঁদছেন রনির বাবা আকরাম হোসেন আঙ্গুর।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেড়ুয়া বালুরঘাট গ্রামের বাসিন্দা আকরাম হোসেন আঙ্গুর একটি /হ//ত্যা/ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। ছেলের মৃত্যুর পর সংসারে জীবিকা নির্বাহ করার মতো আর কেউ নেই।
এ বিষয়ে আকরাম হোসেন বলেন, আদালত আমাকে মাত্র সাত দিনের শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন। এরপর আমাকে আবারও জেলখানায় যেতে হবে। তখন এই পরিবারের খোঁজ কে নেবে? এই পরিবারের সব সদস্যের দেখাশোনা কে করবে? এখন পরিবারের একমাত্র অবলম্বন আমার ছোট ছেলে তরিকুল ইসলাম রকি। আমার রকির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভিক্ষা চেয়ে চাকরি চাই।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এবং আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক। এছাড়াও এখনো কারো কারোও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে।