চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিকপক্ষের খোঁজ পাওয়া গেল। তবে তারা ঘটনার পর নিখোঁজ ছিলেন এবং অনেকে ধারণা করেছিলেন যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা আড়াল থেকে বাইরে এলেন এবং ঘটনার বিষয়ে ভিন্ন ধরনের দাবি করলেন তুললেন। তাদের দাবি এই পরিস্থিতি ঘটার কখনো সম্ভাবনা ছিল না।
অগ্নিকাণ্ড ও বি’স্ফো’/রণে বহু প্রাণহানিকে নাশকতা হিসেবে দাবি করেছে বিএম কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার তিন দিন পর সোমবার (৮ জুন) পুরো ঘটনাটিকে নাশ”কতা বলে দাবি করছেন তারা। তবে কে বা কারা এ না”শকতা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তারা।
ঘটনার পর থেকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর মালিকের হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিশেষ করে ক্ষতিকর বি’স্ফো/’রক হাইড্রোজেন পারক্সাইডে আগুনের সূত্রপাত। কিন্তু বি/স্ফো’রণের পর মালিকপক্ষ ধামাচাপা দেয় এবং এতে হ”তাহ’তের ঘটনা গোপন করে ভুল তথ্যের কারণে বিস্ফোরণ এবং এতো হতাহতের ঘটনার পর মালিকপক্ষ গা ঢাকা দেয়।
তবে ঘটনার তিন দিন পর পুরো ঘটনাটিকে না”শকতা বলে দাবি করছেন কনটেইনার ডিপোর মালিক চিটাগাং স্মার্ট গ্রুপের কর্মকর্তারা। এমনকি তারা তাদের দায়িত্ব নিতেও রাজি নয়।
চট্টগ্রাম স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, “আমরা ২০১১ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানি করে আসছি। এর আগেও অনেক রাসায়নিক এসেছে এবং চলে গেছে। হঠাৎ কেন এমন হলো আমরা বুঝতে পারছি না; ঈশ্বর সব জানেন! তবে আমরা নিশ্চিত যেখানে ৮০০/৯০০ কন্টেইনার পুড়ে গেছে, এখনো জ্বলছে। কিন্তু কন্টেইনারে বিস্ফোরণ কেন? তিনি বলেন, এটা অবশ্যই নাশকতা।
স্মার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর এ.বি. শামসুল হায়দার সিদ্দিকী বলেন, কী কী জিনিস এসেছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই আমাদের অনুমান করতে হবে, এখানেও কিছু এক্সক্লুসিভ থাকতে পারে। তারা বললে সহজ হতো। গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে দেখা ভালো হবে।
এদিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার বিকেলে পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ডিপো কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতির অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শনিবার রাতে আগুন লাগলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। কে একে জ্বলছে রফতানিযোগ্য হাজার কোটি টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সে”নাবাহিনীর বিশেষ টিম আগুন নেভাতে কাজ করছে।
আগুন ও বি’/স্ফো’রণের ঘটনা তদন্তে পুলিশ-জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করেছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের না হলেও সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ঘটনার বিবরণ জানিয়ে একটি জিডি করেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর খুব দ্রুততার তদন্তের নির্দেশ দেন। এছাড়া মালিকপক্ষ কোন ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা সে বিষয়েও তিনি তদন্তের কথা বলেন।