চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ( Sitakunda Chittagong ) সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে এ পর্যন্ত ১৬টি নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়াতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ( fire service ) ৩ কর্মী রয়েছেন। শনিবার রাতে ( Saturday night ) এ দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শ্রমিক, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ( fire service ) সদস্যরা রয়েছেন। তাদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ( Chittagong Medical College Hospital ) নেওয়া হয়েছে। অনেককে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ডিপোর পাশের এলাকা সোনাইছড়ি। কেঁপে ওঠে ডিপোর আশপাশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা। বহুতল ভবন, ঘরবাড়ি, মাদ্রাসা ও মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। সোনাইছড়ির বাসিন্দারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে বাড়ির অনেক শিশু কান্নাকাটি করে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইকে বারবার দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর একটি কন্টেইনার ডিপোর সামনে বিকট আওয়াজ হয়। বিস্ফোরণস্থল থেকে ধোঁয়া উড়ছে। দুর্ঘটনায় চারজন প্রয়াত ও দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ( police. ) হতাহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মী ছাড়াও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ( fire service ) সদস্যরা রয়েছেন।
আহত রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা আব্দুল করিম বলেন, আমি প্রথমে আগুন দেখতে পাই। কয়েক মিনিট পর শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি এক কিলোমিটার দূরে। তবে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলটি মাটির নিচে বলে জানা গেছে, কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। রাত থেকেই ডিপোর সামনে ভিড় করছেন অনেকে। আতঙ্কিত মুখগুলো থেকে একটাই বাক্য ভেসে আসছে—এমন রাক্ষস শব্দ শুনিনি! তবে দুই পাশের অধিকাংশ বাসিন্দাই নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছে। অনেক বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ডিপোর অনেক শ্রমিক বেরিয়ে আসেন। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস। হঠাৎ কন্টেইনারটি বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় আহত ও দগ্ধ হয়েছেন আড়াই শতাধিক মানুষ। এখন পর্যন্ত চারজনের প্রয়ানের খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কন্টেইনার রয়েছে। রাসায়নিক পাত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার পর একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার প্রর্যন্ত এলাকা কেঁপে ওঠে। আশেপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। দগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।