নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা বৎাজ করছে। অবশ্যে এই নির্বাচন কমিশন গঠনে কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি। এবং তিনি রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে এই প্রসঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তিনি সংলাপ করেছেন। তবে এখনো এই সংলাপের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির চিঠি পায়নি বিএনপি। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হলেও এখনো চিঠি পায়নি দেশের রাজনৈতিক দল বিএনপি। চিঠি পেলে দলের নির্ধারণী ফোরামে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বনানীতে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এই কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আমরা এখনো কোনো চিঠি পাইনি। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে চিঠি পেলে আমাদের স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো আলোচনা করবো না। সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো চিঠি আসেনি। সুতরাং, আমরা সুনির্দিষ্টভাবে ওই সিদ্ধান্ত নিইনি।’ তবে এদিকে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে বলে আসছেন, তারা রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে অংশ নেবেন না। সোমবার বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য সংলাপকে ‘তামাশা’ বলে মন্তব্য করেছেন। রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির সংলাপ ফেল্কিবাজি।’
সোমবার প্রথম দিনের সংলাপে জাতীয় পার্টি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানায়। তবে সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে তা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। সংলাপ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার কারণে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে জাপা। সার্চ কমিটির জন্য পাঁচ সদস্যের নামও প্রস্তাব করে দলটি।
অবশ্যে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের দ্বিমত পোষন করেছে বিএনপি দল। এবং আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবিও জানিয়েছে বিএনপি দল।