ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এর নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকে সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে, সেইসাথে সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসি জড়িয়ে পড়ছেন নানা ধরনের অনিয়মের সাথে। কলেজটির এই দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম-দুর্নীতি তথ্য উঠে আসছে গণমাধ্যমে। তাদের দ্বারা ইডেন কলেজের ছাত্রীরা মা’রধরসহ হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে জানা যায়। সম্প্রতি ইডেন কলেজ শাখা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসিকে মা’রধরের অভিযোগ উঠেছে সভাপতি রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে রিভার রিভার সিটবাণিজ্য, ওয়াইফাই প্রোভাইডার, ক্যানটিন থেকে চাঁদা আদায়ের নানা তথ্য গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। ইডেন কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজের ছয়টি হলের মোট ৩৮টি কক্ষ রিভার দখলে রয়েছে।
কক্ষগুলোতে টাকা বিনিময়ে ছাত্রীদের রাখছেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে তিনি হলের প্রতিটি কক্ষে অন্তত আটজন করে শিক্ষার্থী রাখছেন, যার ফলে সেখানে মোট ৩২০ জন শিক্ষার্থী। এর জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা করে নেয় রিভা।
এ ক্ষেত্রে শুধু সিটবাণিজ্য করেই রিভার মাসিক আয় ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। তবে রিভার আয় এখানেই শেষ নয়, রিভা প্রতি মাসে ওয়াইফাই প্রোভাইডারের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। আগস্ট মাসেই ওয়াইফাই প্রদানকারীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেন তিনি।
এ ছাড়া হলের চারটি ক্যান্টিন থেকে চাঁদা নেন রিভা। শাখা ছাত্রলীগের এই দুই নেতা চারটি ক্যান্টিন থেকে মাসে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা আদায় করেন। তবে এই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ ও বিরোধ। এদিকে শনিবার রিভা-রাজিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তিকর অবস্থার ছবি তোলার অভিযোগও তুলেছেন সহসভাপতি জান্নাতুল।
জানা গেছে, ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আসন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগ নেতা জান্নাতুল ফেরদৌসী। এরপর তার ওপর নেমে আসে নি’র্যা’/তন। নির্যা’/ত’নের ঘটনা জানাজানি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষো”ভের সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে। জনরোষের মুখে রাতের আঁধারে হল থেকে পালিয়ে যান সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা। ঘটনার সত্যতা জানতে সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রীদের রোষের মুখে পড়ে রাতের অন্ধকারে কলেজের হল থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তামান্না জেসমিনের রিভা ও রাজিয়া সুলতানা। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে রিভা এবং রাজিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে কথা বলা যায়নি। এদিকে তাদের বেপরোয়া হয়ে ওঠার পেছনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির নাম এসেছে।