বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে গেছে একটি মর্মান্তিক ঘটনা। কোটিপতি হওয়ার নেশায় ছোট পরীর মত বাচ্চা মেয়েকে শেষ করে দিয়েছে এক যুবক। আর এ নিয়ে এখন সারা দেশে চলছে শোকের ছায়া। ঘটনার মুলে রয়েছে আবির নামের এক যুবক। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা কিনে ধনী হওয়ার আশায় চট্টগ্রামের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতকে টুকরো টুকরো করে হত্যা করে সাগরে ভাসানোর কথা স্বীকার করেছে আসামি আবির আলী। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন, দাদার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ধনী হওয়ার জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করে।
শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে আবিরের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১৭ পৃষ্ঠার ভাষণ দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জবানবন্দিতে আবির জানায়, ধনী হওয়ার দেড় মাস আগে সে আয়াতকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে জানান, শিশু আয়াত হত্যা মামলার আসামি আবিরকে দুই দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশও উদ্ধার করা হয়েছে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন।
গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় চট্টগ্রামের নয়ারহাট এলাকার সোহেল রানার মেয়ে পাঁচ বছরের আলিনা ইসলাম আয়াত।
২৪ নভেম্বর পিবিআই আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে। এরপর আয়াতকে হত্যার বিষয়টি সামনে আসে।
১৫ নভেম্বর বিকেলে আয়াত পাশের একটি স্কুলে পড়তে যায়। পরে পরিবার জানতে পারে শিশুটি মসজিদে যায়নি। দশ দিন পর চিন্তিত পরিবার জানতে পারে আয়াতকে আবির মিয়া নামে এক পরিচিত ব্যক্তি খুন করেছে। আয়াত তাকে ‘চাচা’ বলে ডাকতেন।
আবিরের বাবা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম আয়াতের বাসায় ভাড়া থাকেন। তার মা আলো বেগম একজন পোশাক কারখানার শ্রমিক।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে ইপিজেড এলাকার আকমল আলী রোড এলাকায় অন্য বাড়িতে থাকেন তিনি। আবির তার বাবা-মা উভয়ের বাড়িতে যাতায়াত করত।
এ দিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আবিরের শাস্তি যথাযত আইনে। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে করা হয়েছে মামলা।