বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র মৃত। আজ প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থ রক্ষা না করেই শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আজ অব্যাহত আন্দোলন এবং এ আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীর ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তপাত উপেক্ষা করে কমিশন একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশের সুশীল সমাজ, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিদেশি কূটনীতিকদের আবেদন উপেক্ষা করে তিনি শুধু স্বৈরাচারী, গণতন্ত্রবিরোধী ও ভোটবিহীন সরকারপ্রধানের কথা শুনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৯৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এক হাজার ৬৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয়েছে। দেশের মানুষকে দমন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাবন্দি করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সারাদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহার ওমর বীরউত্তম, মোহাম্মদ শাহজাহানসহ আরও অনেকে। তিনি যে ফেরাউনের রাজত্ব কায়েম করেছেন-এটাই তার প্রমাণ। বর্তমান সরকারের পতন হবেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ তার নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। এ জন্য তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নামার পর তাদের রক্ত ঝরাতে শুরু করেছে সরকার। দেশের গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠী এখন শেখ হাসিনার বুলেটের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।’
জভী বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে জনগণ জীবন দিয়ে লড়ছে। জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন সব স্বৈরশাসকের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে। দেড় দশক ধরে চলমান রাজনৈতিক সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। জনগণই বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন শনির দশায়। তাদের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায়। তারা শুধু ক্ষমতার নেশায় রক্তাক্ত উন্মাদনা শুরু করেছিল। পাইকারি গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ধরা না পড়লে বাবা, শ্বশুর, ছোট ভাই এমনকি বাড়ির মেয়েকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে উস্কানি দিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।