বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই সম্মানীয় পদে আসীন হাবর পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর পূর্বেও তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব আপলন করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন নির্বাচনে বিএনপির আসার জন্য অপেক্ষা করবো কিন্তু তার এমন কথায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন তারা যাবেনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডাকা চলমান সংলাপ প্রত্যাখ্যান করলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, ‘আমরা বিএনপির জন্য অপেক্ষা করব।’
ইসি কেন অপেক্ষা করবে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারা কেন অপেক্ষা করবে? আমরা ফোনে জানিয়েছি সংলাপে যাব না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি ঠিক করতে ১৭ জুলাই থেকে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করেছে ইসি।
বুধবার সংলাপের চতুর্থ দিনে তিন দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ করার কথা থাকলেও তফসিল পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। এছাড়া বিএনপি সংলাপ বর্জন করায় ইসি একটি মাত্র দলের সঙ্গে সংলাপে বসে। ইসি চার দিনে ১৪ দলকে আমন্ত্রণ জানালেও ১১টি রাজনৈতিক দল আহ্বানে সাড়া দেয়। ইসির ডাকা সংলাপ বয়কট করেছে বিএনপির সঙ্গে ২০ দলীয় জোট বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও কল্যাণ পার্টি।
অনেক দল সংলাপে অংশ নেওয়ায় প্রতিটি দলের মনোভাব ইতিবাচক বলে মনে করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা ভালো নির্বাচন চাই, ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।
আমরা আরও বলেছি যে প্রত্যেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এটাই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রতিটি দল ঐক্যমতে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছে, সিইসি বলেন, ‘ঐক্যমত থাকতেও পারে, নাও হতে পারে। তবে আমরা যেমন বলেছি, আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। এটা কেউ করেনি। প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলেছি, ঐক্য আমাদের নয়, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছি, ঐক্যের চেষ্টা করুন, ঐক্য হলে আমরা খুশি হব। আর আমরা যে দায়িত্ব নিয়েছি, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করব। এই সংলাপের মাধ্যমে ইসির প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর অবিশ্বাস দূর হবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘ইসির প্রতি অবিশ্বাস সব সময়ই থাকে। কাগজে দেখছেন, হয়তো কোনো পক্ষের অবিশ্বাস আছে। আমাদের সঙ্গে যারা বসেছেন তাদের সবারই আস্থা আছে।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের জনপ্রিয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা তাদের নেই। সমাধান খুঁজছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে আন্দোলনের মাধ্যমে অবশ্যই সমাধান হবে।
প্রসঙ্গত, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। দায়িত্বরত থেকে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা এমনটি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল।