প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো সংসদ সদস্যকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্য গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। বিশেষ করে অনেক রাজনৈতিক নেতারা তার এ বক্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয় নিয়ে এবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এলাকা ছেড়ে না গেলে কিছু করার নেই বলে ইসির বক্তব্য জনগণের মনে সন্দেহ তৈরি করেছে। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ইসি অসহায়ত্ব দেখালে এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। নির্বাচন কমিশন অসহায়ত্ব প্রকাশ করলে আমরা সাধারণ নাগরিকরা কোথায় যাবো? নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আশা করি ইসি তা করবে।
তিনি বলেন, আমরা অতীতে অনেক অযোগ্য প্রার্থীকে দেখেছি যারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে আবেদন করেছেন যাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। এবারও তা ঘটল। ঔপনিবেশিকতার রাজা-প্রভু সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সচেতন হব, দাবি করব। একই সাথে আমরা আমাদের কাজগুলো করব। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন।
এ বিষয় নিয়ে এক পাঠক তার মন্তব্যে লেখেন:- নির্বাচন কমিশনারের কথায় ও চেহারায় এক ধরনের অসহায়ত্ব কাজ করছে এটা খুব স্পষ্ট। আর এই সংসদ সদস্যও খুব ভালো করেই জানেন যে তিনি যদি তার লাইনের কাউকে বা তার ধামাধাঁড়াকে নির্বাচনে মেয়র না বানাতে পারেন, তাহলে তিনি তার পেছনে যাবেন, সে আমার পেছনে যাবে। পরে পুলিশ ছাড়া শহরে ঢুকতে পারবেন না। এবং তিনি তার নিজের মেয়েকে তার জায়গায় রাখতে পারেন না। ধারণাটি হল যে আপনি একবার এমপি হয়ে গেলে আপনার উত্তরসূরিরা কেবল এই পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দলের অন্য সব কর্মচারীদের কি এই দলের এমপি হওয়ার ইচ্ছা বা অধিকার নেই? আওয়ামী লীগ এটাকে গণতন্ত্রের মডেল বলতে চায়। যাই হোক, আগের কথায় ফিরে আসি। নির্বাচন কমিশনার সাহেব, মনে রাখবেন সামনের দিনগুলোতে এমন বিকৃত মানসিকতার মানুষ আপনাকে পরাজিত করতে চাইবে। তারা সংসদে নিজেদের প্রমাণ করতে চাইবে। আর বাইরেও তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের খেলা চালিয়ে যাবে। তাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন এই ফ্রাঙ্কেনস্টাইনগুলিকে থামাতে কী করবেন।