বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন দিয়ে থাকেন যখন কোনো কেউ বিপদে পড়েন। বর্তমান সময় পর্যন্ত জরুরী সেবা নম্বরে ফোন দেওয়ার মাধ্যমে অনেকেই বড় ধরনের বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছেন। কিন্তু চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এক গৃহবধুর কান্ডে পুলিশ অনেকটা হতবাক হয়েছেন। ঐ গৃহবধূ মেজাজ হারানোর পর তিনি ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে ডাকেন।
গৃহবধূ শাহনাজ বেগম ঘুম থেকে উঠে হাতের আংটিটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে শুরু হয় কথা কা”টাকাটি। এক পর্যায়ে তিনি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এ ফোন করেন এবং নিজেকে উদ্ধার করার জন্য আকুতি জানান।
এমন অনুরোধে পুলিশ তার বাড়িতে ছুটে যায়। তারপর দেখা যায় অদ্ভুত ব্যাপার। পুলিশ দেখে, অভিযোগকারী স্বামীর সঙ্গে বসে আছেন। জরুরি সেবায় ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আংটি হারানোর অভিযোগ জানান।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর সোনাইছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এক নারী ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্যের আবেদন করেন। ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই মহিলার হাতের আংটিটি খুঁজে পাননি। এ নিয়ে স্বামীকে সন্দেহ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন তিনি তার স্বামীর উপর রেগে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। আমরা আর কোনো অভিযোগ পাইনি।
তবে এই গৃহবধূর মত ঘটনা ঘটাননি অন্য কেউ এমনটা নয়। এমনও শোনা গেছে ছোট ছেলেমেয়ের কান্না থামানোর জন্য পরামর্শ চেয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়েছে। যার কারণে বিড়ম্বনায় পড়ে থাকেন জরুরী সেবা নম্বরের কল রিসিভারেরা।