রাজনীতিবিদ না হলেও বাংলাদেশের ( Bangladesh ) রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে সাহাবুদ্দিন আহমেদ অন্যতম আলোচিত নাম। সাহাবুদ্দিন আহমেদের ( Sahabuddin Ahmed ) রাজনীতিতে প্রবেশ কিছুটা নাটকীয়। মওদুদ আহমদ ( Moudud Ahmed ) সহ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন, ১৯৯০ সালে ( ) ৫ই ডিসেম্বর ( December ) এবং সাহাবুদ্দিন আহমেদ সহ-রাষ্ট্রপতি হন। রাজনৈতিক দলগুলো সেই সময় আন্দোলন শুরু করলে ৬ ডিসেম্বর ( December ) রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ( Hussein Muhammad Ershad ) পদত্যাগ করেন, সেই সময় বাংলাদেশ অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের ( Bangladesh ) রাষ্ট্রপতির শূন্য পদ এবং নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের ( government ) প্রধান হবেন কে? তা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। সে সময়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে,
বিএনপি ( BNP )র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ( Mirza Fakhrul Islam Alamgir ) বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের ( Bangladesh ) গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য হয়ে থাকবেন। শুক্রবার সকালে ( Friday morning ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ( Federal Union Journalists ) (এফইউজে ( FUJ )) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের ( Sahabuddin Ahmed ) প্রয়ানে শোক প্রকাশ করে বিএনপি ( BNP ) মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের ( Bangladesh ) রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেক ভূমিকা পালনকারী বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ আজ সকালে প্রয়াত হন। তিনি ১৯৯১ সালে ( )র নির্বাচনের সময় রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন, যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যতদিন তিনি গণতন্ত্রের জন্য ল”ড়াই করবেন এদেশের মানুষ তাকে মনে রাখবে। দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে তার ভূমিকা নিঃসন্দেহে অনন্য হয়ে থাকবে।
মির্জা ফখরুল তার প্রয়ানে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ শনিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সা” মরিক হাসপাতালে প্রয়াত যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সাহাবুদ্দিন আহমেদ। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সভাপতি করা হয়। ২০০১ সালে বঙ্গভবন ত্যাগের পর সাহাবুদ্দিন আহমেদ ঢাকার গুলশানের বাসায় অত্যন্ত নির্জন জীবনযাপন করছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে যখন একদল অন্য দলের প্রার্থীকে অবিশ্বাস করছিল। তখন সাহাবুদ্দিন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করলে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়েই একমত হয়। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেন বলে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের জানা ছিল। এ সময় তিন রাজনৈতিক দলের জোট সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।