বলিউডের মেঘা সুপারষ্টার সালমান খান। তিনি ৩ দশকের বেহসি সময় ধরে বলিউড ইন্ডাষ্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। সম্প্রতি তিনি ৫৭ বছরে পর্দাপন করেছেন। তার এই জন্মদিনকে ঘিরে নানা আয়োজনের ব্যবস্থা চলছিল। এরই মধ্যে তিনি এক দূর্ঘটনার শিকার হলেন। এই দূর্ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বললেন সালমানের বাবা।
২৭ ডিসেম্বর ভাইজানের ৫৬তম জন্মদিনটা জাঁকজমকের সঙ্গে পালনের জন্যই আয়োজন চলছিল। কিন্তু তাঁর আগেই এক দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। এক আনাড়ি সাপের কামড় খাওয়ায় হাসপাতালে নিতে হয় বলিউড টাইগারকে। অবশ্য তেমন গুরুত্বর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই সালমানকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কি ঘটেছে সালমানের হাতে ছোবল মারা সেই আনাড়ি সাপটির ভাগ্যে? না, তেমন খারাপ কিছুই ঘটেনি। সালমান খানকে কামড়ানো সাপটিকে ছেড়ে আসা হয় জঙ্গলে। রোববার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন ভাইজানের বাবা সেলিম খান। এদিন বিকেলে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি শুরুতেই বলেছিলাম, সাপটির বিষ নেই। পরে যখন জানতে পারলাম সেটাই সত্য, তখন আমাদের খামারবাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে এক জায়গায় ছেড়ে আসা হয় সাপটিকে।
এর ঠিক ঘণ্টা কয়েক আগে নিজের প্যানভেলের খামারবাড়িতে ওই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন সালমান খান। আচমকাই সাপের কামড় খেয়ে বসেন অভিনেতা। জানা গেছে, বড়দিনের রাতে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খামারবাড়ির বাগানে বসে গল্প করছিলেন সল্লু ভাই। তখনই ঘটে এই ঘটনা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। চিকিৎসার পর আপাতত সুস্থ আছেন ভাইজান। দুশ্চিন্তার মেঘ কেটে গেছে খান পরিবারের ওপর থেকে। সেলিম খান বলেন, “যখন ঘটনাটি ঘটে, আমরা সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। সালমানকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই ইঞ্জেকশন দেওয়ানোর জন্য। এই ক্ষেত্রে সেটাই খুব জরুরি। ভাগ্যিস সাপটির বিষ ছিল না।” এদিকে, ভাইজানের জন্য চিন্তায় ছিলেন তাঁর অনুরাগীরাও। অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছিলেন সবাই। বাবা সেলিম খান জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ফিরে বিশ্রাম করছেন সালমান। সুস্থ আছেন তিনি।
সালমান খান সিনেমার পাশাপাশি সময় পেলেই নিজের প্যানভেলের খামারবাড়িতে থাকেন। এবং সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সহ চাষাবাদের ও কাজ করে থাকেন তিনি। এই খামার বাড়িতে আচমকাই সাপের কামড় খেয়েছেন এই অভিনেতা। অবশ্যে বর্তমান সময়ে তিনি সুস্থ রয়েছেন।