রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রাইভেটকারে মামলা দেওয়ায় এক নারী সার্জেন্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী সার্জেন্ট দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমি রং পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকারের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকার মামলা করলে এক নারী উত্তেজিত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে বলেন,কেন তুই আমার গাড়িতে মামলা দিলি…
এ ঘটনায় নির্যাতিত মা ও মেয়েকে আটক করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
হামলার শিকার সার্জেন্টের নাম হাসিনা খাতুন। তিনি বলেন, তারা আমার কাছে ভিডিওটি দেখতে চান। আমি ভিডিও দেখাই এবং ব্যাখ্যা করি। কিন্তু তারা সেদিকে কর্ণপাত না করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মা ও মেয়েসহ কিল, ঘুষি, চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন।। সে আমার মুখে খামচি মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। তারা আমার ওয়াকি-টকি, শরীরে পরা ক্যামেরা এবং গলার সোনার চেইন রাস্তায় ফেলে দেয়। চেইন এখনও পাওয়া যায়নি। পরে কর্তব্যরত দুই কনস্টেবল আমার সাথে এসে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে। তাদের ওপরও হামলা চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।পরে ঘটনাস্থলে থানা–পুলিশ আসে। থানা–পুলিশ আসার পর তাদের ওপরও চড়াও হন মা–মেয়ে। একপর্যায়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় মোহাম্মদপুর থানা–পুলিশ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভূইয়া জানান, গতকাল সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় সার্জেন্ট হাসিনা রং পার্কিং করায় একটি প্রাইভেট কারকে মামলা দেন। পরে প্রাইভেটকারের মালিক এসে সার্জেন্টকে গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ের বাবা বলেন, ঘটনা উল্টো। পুলিশ আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আমাদের মামলা করার কথা। কিন্তু তারাই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।