নরসিংদীর ( Narsingdi ) ঘটনাটি এতদিন চাপা পড়ে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পরিবারের কাছ থেকে। তবে মে ( May )য়েটি বন্ধুরা তাকে অনেক মানসিক সমর্থন দিছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেদিনের ঘটনা সে আজো ভুলতে পারেনি। সে সারারাত কাঁদে। মাকে বলতে না পারার যন্ত্রণা আরো বেশি কষ্ট দিচ্ছিলো তাকে। মাকে বলবে কি বলবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে সে তার মাকে বিষয়টি জানান। মা খুব অবাক এবং ভয় পেয়ে গেল। তবে তিনি অভিযোগ করেননি। তবে ওই অভিযুক্ত নারী গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি বেশ আনন্দিত বলে যোগাযোগ মাধ্যমে ( May ) জানায়, আমার কী যে শান্তি লাগছে! কী শান্তি, বোঝাতে পারব না।
নরসিংদীতে ( Narsingdi ) কাপড় নিয়ে হ/ য়রানির শিকার নারীকে গ্রেপ্তারের পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ওই নারী।
ঢাকা ( Dhaka )র ( Dhaka ) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থী সোমবার বিকেলে ( Monday afternoon ) এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারের তথ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
অনলাইনে রাস্তায় তৈরি বিভিন্ন খাবারের ভিডিও দেখে বন্ধুর সঙ্গে গত ( Past ) ১৬ মে ( May ) ঢাকা ( Dhaka ) থেকে নরসিংদীতে ( Narsingdi ) যান ২২ বছর বয়সী ওই তরুনী। ফেরার পথে পরদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনে ( Narsingdi railway station ) ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করার সময় জিন্স ও টপ পরার কারণে তাকে লা/ ঞ্ছিত ও মা/ রধর করা হয়। তার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধুকেও মারধর করা হয়।
একজন ব্যক্তি পুরো দৃশ্য ভিডিও করে যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। পোশাক নিয়ে এভাবে হ/ য়রানির সমালোচনা করেন অনেকে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ঘটনার নিন্দা করে এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
নরসিংদী রেলস্টেশনে এক তরুণীকে উ/ ত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা ওরফে সায়মাকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
পোশাকের জন্য তরুণীর ওপর হা/ মলাকারী ওই নারীকে রোববার বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ওই নারীর নাম মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা ওরফে সায়মা (৬০)। যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাকে মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করে। গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার ছবি দেখে ওই তরুণী বলেন, এই নারীই তাকে হ/ য়রানি করেছেন।
ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে ওই তরুণী আজ এক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীকে বলেন, ওই নারী প্রথমে তাকে হ/ য়রানি শুরু করেন এবং পরে অন্যরা তার সঙ্গে যোগ দেন। এ কারণে আজ ওই নারীকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে তিনি শান্তি পেয়েছেন। সেদিনের ঘটনা আজও তাকে তাড়া করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র বলেন, আমি সাত দিন ঘুমাতে পারিনি। কিছুই খেতে পারিনি। যতবার ভাবি ততবারই আমার শরীর কেঁপে ওঠে। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল ১০-১২ হাত আমার শার্ট টানছে। ‘ তরুণী আরও বলেন, ‘আজ আমার মন খুব শান্ত। বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় ছোট বাচ্চাদের সাথে ফুটবল খেলতাম। আমি খুব মজা পাচ্ছি. আজ রাতে আমি নিজের ছবি আঁকব। তারপর দেয়ালে টাঙাবো। আগামীকাল আমার ব্রুনোর (পোষা বিড়ালের) জন্মদিন। আজ আমি ব্রুনোর জন্য কেনাকাটা করব। আমি আগামীকাল তাকে সাজাব।
তরুণী তার হ/ য়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি প্রতিটি প্রতিবাদ সম্পর্কে জানি। আমি মানসিকভাবে সব প্রতিবাদের সঙ্গে আছি। আমি শারীরিক প্রতিবাদে অংশ নিতে সাহস করি না যাতে কেউ আমার বাবা-মায়ের দিকে আঙুল না তোলে। কিন্তু এখন বুঝি সব মানুষ এক রকম হয় না। যারা আমার পাশে আছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।