মানুষ চেনাটা যদিও অতটা সহজ কাজ না তবুও কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানোর পূর্বে অনকে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। কেননা জীবনে একটি ক্ষতি একবার হয়ে গেলে সেই ক্ষতিপূরণ মানুষ সারা জীবনেও দিতে পারেনা। প্রেম-ভালোবাসা অপরাধের কিছু না। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সঠিক মানুষটিকে বাছাই করতে না পারলে খেতে হয় ধোঁকা। সম্প্রতি জানা গেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেম, বাড়িতে প্রেমিকাকে দেখে পালালেন প্রেমিক।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বিয়ের দাবিতে ছয় দিন ধরে এক যুবকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী (১৯)।
সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (সদস্য) মতিউর রহমান সেজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) থেকে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন। প্রেমিকা বাড়িতে আসার পর থেকেই প্রেমিকা পলাতক।
অভিযুক্ত আলীউর রহমান উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ছামারুল্লাহ গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। মেয়েটি একই উপজেলার বাসিন্দা।
মেয়েটি জানায়, প্রায় চার মাস আগে ফেসবুকে আলীউরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অলিউর যৌনমিলন করে। এখন বিয়ের কথা বলতে গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন অলিউর। এ জন্য বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসেছি।
ইউপি সদস্য (সদস্য) মতিউর রহমান সেজু জানান, ওই তরুণী গত ছয় দিন ধরে বিয়ের দাবিতে আলীর বাড়িতে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর আলীউর বাড়িতেও সালিশ হয়। এ সময় মেয়েকে জমির ৫০ শতাংশ লিখে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ছেলেটি নিখোঁজ। এ কারণে বিষয়টির সুরাহা হচ্ছে না।
চণ্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় ওই তরুণীকে জমিতে স্বাক্ষর করে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ছেলের বাবা রাজি না হওয়ায় ছেলেও পলাতক। সোমবারের মধ্যে আলীউর মেয়েকে বিয়ে না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নান্দেল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আসলে নিজের অপকারসাধন কেউ কোনোদিন করতে চায় না। মানুষ তখনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন সে অন্য আরেকটি মানুষকে বিশ্বাস করে তার মন-প্রাণ দেয়। তবে সেই মানুষটি সৎ কিংবা ভালো মানুষ মানুষ কিনা সেইটা যাচাই করতে না পারলে অচিরেই হতে হয় প্রতারিত, ঠিক যেমনটি হয়েছে এই মেয়েটি।