শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অ/ত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট মার্কিন আইনজীবী, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী কেরি কেনেডি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।
কেরি কেনেডি বিশ্ববিখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের সভাপতি। তিনি সাবেক মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির মেয়ে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজি।
ড. ইউনূসকে তার প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করে কেরি কেনেডি লিখেছেন- ‘আমার প্রিয় বন্ধু এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অ/ত্যাচার বন্ধ করতে হবে! আমি সহ ১৬০টিরও বেশি বিশ্বনেতা (তার জন্য) ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
যাইহোক, এই বছরের মার্চ মাসে, রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্প ও শিক্ষার ৪০ জন বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি খোলা চিঠি লিখে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়র।
সেই খোলা চিঠির ধারাবাহিকতায় শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নতুন চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্টা, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের মতো ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে একজন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডেলি-হ্যারিস একটি বিবৃতিতে চিঠিটি প্রকাশ করেছেন।