সামাজিক মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেত্রীর কান্ড, লজ্জায় ভাসালেন নেটিজনেরা

জনপ্রিয় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফে”সবুকের টাইমলাইনে একটি ভুয়া ও এডিট করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির ছবি পোস্ট করেছেন এক ছাত্রলীগ নেত্রী। এই ঘটনার পর শুরু হয় আলোচনা, যার কারণে তিনি লজ্জায় পড়ে যান। তিনি ঐ বিজ্ঞপ্তিতে দেখিয়েছেন যে, তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সদস্য’ হিসেবে মনোনীত করেছেন এবং তিনি একটি পদও পেয়েছেন। অভিযুক্ত ঐ নেত্রীর নাম শামসুন নাহার কাকলী, যিনি বর্তমানে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে রয়েছেন।

তিনি গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) তার ফে”সবুক টাইমলাইনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ পেয়েছেন এমনটি লিখে পোস্ট করেন এবং ওই পোস্টে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেতার পদ সম্পূর্ণ ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন সহ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল।

এ অভিযোগের বিষয়ে শামসুন নাহার কাকলী বলেন, আমি সেন্ট্রাল পদের জন্য আবেদন করেছিলাম। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বন্ধু ফে”সবুকে আমার টাইমলাইনে অভিনন্দনমূলক পোস্ট দিচ্ছিল। তারপর আমি নিজেই পোস্ট করি। এখন আমি তথ্যটি সত্য না মিথ্যা তা পরীক্ষা করছি। এটা ভুলও হতে পারে। আমরা রাজনীতিবিদরা নানাভাবে প্রতা”রিত হতে পারি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমি সঠিক তথ্য পেলে আপনাদেরকে জানাব।

পরদিন ওই নেত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল জানান, গত ১০ দিনে কোনো সদস্যকে ইস্যু করা হয়নি। এ ছাড়া ফে”সবুকে এর বাইরে প্রচারিত সব বিজ্ঞপ্তি ভুয়া। যারা এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এডিট করা ওই নকল বিজ্ঞপ্তিতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটা অনুযায়ী, গত ১১ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত শামসুন নাহার কাকলীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ফে”সবুক টাইমলাইনে প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে তিনি আলোচনায় এসেছেন, এবং তাকে নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন নেটিজনেরা। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ঠাট্টা করতে ছাড়েননি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেটা মুছে ফেলেছেন কিনা সেটা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।