পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) আমলে দেশের বাজেট ঘাটতি ছিল ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ বছরে তা ৩৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। এক ডলারের মূল্য এখন ২৪০.৪০ পাকিস্তানি রুপি। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে এক দফায় তেল আমদানি অনেকটাই কমে গেছে।
এদিকে ডলারের দাম আকাশচুম্বী। বর্তমানে এক ডলারের মূল্য ২৪০.৪০ পাকিস্তানি রুপি। বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে তেল আমদানি ব্যাপকভাবে কমাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল। সামনে আরও খারাপ দিন আসছে, তিনি সতর্ক করেছেন। আগামী তিন মাস বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। শুক্রবার পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে দেশের এই শোচনীয় আর্থিক পরিস্থিতির জন্য ইমরান খানের সরকার দায়ী। অভ্যন্তরীণভাবে দেশের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে জনরোষে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। সে অবস্থা না থাকলেও দেশের বিভিন্ন মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার কথা। তবে শেহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের ওপর দোষ চাপিয়েছেন।
মিফতাহ ইসমাইল বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) আমলে দেশের বাজেট ঘাটতি ছিল ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। গত ৪ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ বিলিয়ন ডলারে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো দেশ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। দেশের ঋণ যখন বাজেটের ৮০ শতাংশ, তখন কিছু করার থাকে না। তিনি বলেন, আগামী তিন মাস কোনোভাবেই বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি বাড়ানো হবে না। এর মধ্যেই আমরা বাজেট ঘাটতি মোকাবেলার উপায় বের করব। আমি জানি এটা দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেবে। কিন্তু আমার কাছে আর কোনো বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে পাকিস্তান সরকার বিদেশ থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। সেখানে মাত্র ৩১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার উপরে ডলারের দাম আকাশচুম্বী। তাই এমন পরিস্থিতিতে কিছু কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী। এদিন তিনি আরও বলেন, সরকারের আর্থিক নীতি সঠিক পথে রয়েছে। তবুও, আমাদের সামনে কিছু কঠিন দিনের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যদি এখন আমদানি কমাতে পারি তবে আমরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
সূত্র: জিও টিভি