আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় সারা-দেশজুড়েই চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন, যা দেশের মানুষের কাছে আস্থাহীন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার ইভিএম নিয়ে মুখ খুললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের খুব কম দেশই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইভিএম পদ্ধতি জনগণের আস্থা ও আস্থার জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। সাধারণ মানুষের ধারণা, তারা যে প্রতীকে ভোট দেন, তা নির্দিষ্ট প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
রোববার (৫ জুন) দুপুরে যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা গ্রামে গণস্বাস্থ্য লেবুতলা হাসপাতালের স্থান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাবেক সিইসি ঠিকই বলেছেন, বিএনপিসহ সব দলের উপস্থিতি ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কার্যকর হবে না।
হাসপাতালের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করি না বলেই কম খরচে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছি। বাংলাদেশে যেমন স্বাস্থ্যের ব্যবসা করা যায় না, তেমনি ধর্মের ব্যবসা করা যায় না।’
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে আগামী ঈদে তাদের কোনো আনন্দ থাকবে না।
জাফরুল্লাহ বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। ২০ হাজার গরিব মানুষের মধ্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বছর হজ পালন করবেন দেশের ৫৭ হাজার মানুষ। তিনি তাদের ১০ হাজার টাকা দান করতে বলেন। এতে ঈদে প্রায় ছয় লাখ মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।
আগামী বাজেট নিয়ে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আমরা একটি বড় দেশ, তাই বাজেটের আকার বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। শুধু অপচয় কমান। বিদ্যুৎ আজ প্রতিটি ঘরে সত্য, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কেন খাওয়ান? কুইক রেন্টাল? এটা একটা অপচয়।”
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় থাকেন, সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, গত ১৩ বছরে তার দলের নেতা-কর্মীরাও তার কাছে পৌঁছাতে পারেননি। সেজন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের আওয়াজ তুলতে হবে।প্রদেশ হলেও মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের দুঃখের কথা বলতে পারে।’
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম দিন দিন বাড়তে থাকায়, প্রতিনিয়ত নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে দেশের সাধারন মানুষকে। তাই তাদের কথা ভেবে দেশ পরিচালনা করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।