গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ক্ষমা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না এই শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরের দলে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিশাল সংগঠন। তিনি (জাহাঙ্গীর) গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক ছিলেন। দল তাকে বহিষ্কার করেছে। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন, দল তাকে আবার শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করেছে। এটা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এখতিয়ার।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর একজন পুরোনো কর্মী। দল তাকে আবার জায়গা দিয়েছে। আমরা আশা করি তিনি (জাহাঙ্গীর) দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন। তিনি যেন অতীতের মতো দলের কোনো ক্ষতি না করেন, দলে কোনো ধরনের বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা না করেন।
আজমত উল্লা খান মহানগর আওয়ামী লীগের পদ পাওয়ার বিষয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ওই অডিওতে তাকে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে সাময়িকভাবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
তবে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ মে তাকে আবারও আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। পাঁচ মাস পর দ্বিতীয় দফায় তাকে ক্ষমা করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা, সংবিধান ও ইশতেহারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে এর আগে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে সংগঠনের স্বার্থ ও শৃঙ্খলা লঙ্ঘন না করার শর্তে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।