গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা আগেই জানানো হয়েছিল।
শনিবার রাতে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেয়র জাহাঙ্গীর নিজেই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা এবং গঠনতন্ত্র ও ঘোষণার পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার জন্য আপনাকে এর আগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার/সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আপনার বিরুদ্ধে আনীত সাংগঠনিক বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ স্বীকার করে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ভবিষ্যৎতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র, নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
এমতাবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) ও ৪৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ আপনার প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম পর্যালোচনা করার জন্য। শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে আপনাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে কোনো ধরনের সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে মেয়র জাহাঙ্গীর বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করায়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদেরও ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, গাজীপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণে অতীতের মতো আগামীতেও যাতে কাজ করতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার নগরবাসীর স্বপ্ন পূরণে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।
২০১৮ সালের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২৫ নভেম্বর তাকে সাময়িকভাবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দলে ফেরার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলে ফিরিয়ে নেয়।