সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ দ্রুততম সময়ে বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে হাসনাত জানান, আগামী এক সপ্তাহ ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান অস্থিরতা নিরসন এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসন ঠেকানো। হাসনাত বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। বিভিন্ন আন্দোলনে উসকানি দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি ছাত্র পরিচয়ে অপরিচিত ব্যক্তিরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশের ব্যাংক খালি হয়েছে, এবং এমপি-মন্ত্রীদের বিদেশে সম্পত্তির পাহাড় গড়ে উঠেছে। এদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করলে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবেন এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবেন। তাই দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রসংগঠন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে হাসনাত বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি একসঙ্গে কাজ করবে এবং কোনোভাবেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না।”
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, ছাত্রদলের আমানুল্লাহ আমান, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, ইসলামী ছাত্রশিবিরের এস এম ফরহাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের জামালুদ্দিন মোহাম্মদ খালিদ, এবং অন্যান্য ছাত্রনেতারা।