প্রেমের পড়লে মানুষ কত কিছুই না করে। অনেক সময় প্রেমের কারণে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দেন এমন উদাহরণও অনেক রয়েছে। এছাড়া অনেক সময় দেখা গেছে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে রাজপুমারী সাধারণ ছেলের হাত ধরে অন্য দেশে চলে গেছেন। এবার তেমনি এক রাজকুমারী এক সাধারণ ছেলেকে বিয়ে করে রাজপ্রাসাদ ছাড়ছেন। জানা গেছে জাপানের একজন রাজকন্যা একজন সাধারণ ছেলেকে বিয়ে করেছেন। তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। আর সাধারণ ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করার জন্য তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ ছাড়ছেন। আর সেই অর্থের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় কয়েক কোটি টাকা।
প্রেমের জন্য ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের উপহার ছাড়ছেন তিনি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ২০ লাখ ৩৩ হাজার ২৫২ টাকা।
শুধু এ পরিমাণ অর্থই নয় বরং রাজকীয় প্রাসাদ ছেড়ে হবু স্বামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ারও পরিকল্পনা করছেন তিনি।
রাজকুমারী মাকো জাপানের ক্রাউন প্রিন্সের মেয়ে এবং সম্রাট নারুহিতোর ভাতিজি। নিজের পছন্দে সাধারণ একজনকে বিয়ে করায় জাপানি রাজপরিবারের নিয়মানুযায়ী নিজের পদবী হারাবেন ২৯ বছর বয়সী মাকো।
রাজ পরিবারের বিয়ে সাধারণ বিয়ের চেয়ে অনেকটা ভিন্ন। তবে এই প্রেমিকযযুগল ঐহিত্যবাহী আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মাকোর বাবাব ক্রাউন প্রিন্স আকিশিনো গত বছর জানিয়েছিলেন, মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে অমত নেই তার। তবে মাকোকে এজন্য জনগণের সমর্থন আদায় করে নিতে হবে। যদিও মাকো এসবের মধ্যে না গিয়ে সব ছেড়েছুড়ে প্রেমিকের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেই সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমনকি রাজপরিবারের বাইরে কোনো রাজকুমারী বিয়ে করলে রাজপরিবারের তরফ থেকে যে এককালীন অর্থ দেওয়া হয় তা নিয়েও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মাকো। কী পরিমাণ অর্থ গ্রহণে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে রাজকুমারী মাকো প্রায় ১৩৭ মিলিয়ন ইয়েন বা ১২ লাখ ডলারের বেশি অর্থ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এদিকে রাজকুমারী মাকোর এই বিয়ে নিয়ে জাপানে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রেমের জন্য রাজকুমারীর এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।
২০২১ সালের শেষ নাগাদ কলেজের সহপাঠী কোমুরো কেই-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কথা রয়েছে রাজকন্যা মাকো-র। তবে বাগদান অনুষ্ঠানসহ রাজপরিবারের সদস্যকে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত রীতিগুলোর কোনওটাই এক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত হবে না। একজন রাজকন্যা হিসেবে তার ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের যে উপহার পাওয়ার কথা রয়েছে সেটিও তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, এই রাজকুমারীর প্রেমিক এখনো যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। জানা গেছে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর এই কারণে তারা দুজন বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন এমনটা মনে করা হচ্ছে। তবা এই বিষয়ে রাজকুমারীর পরিবার থেকে কোনো আপত্তি নেই। তারা চান তাদের মেয়ে যেখানেই থাক যেন ভালো থাকে। আর এই রাজকুমারির প্রেমের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে জাপানে বেশ আলোচনা চলছে। জামানের মানুষরা তাদের এই প্রেমের বিষয়টি সাধারণ ভাবে দেখছে।